অর্ণবাংশু নিয়োগী: ‘৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন’। পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘কমিশন দ্রুততার সাথে এমন কিছু করবে না, যাতে নির্বাচনে ত্রুটি থেকে যায়’। শুধু তাই নয়, হলফনামা দিয়ে অবস্থান জানানোর জন্য় ২ সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হল কমিশনকে।
পঞ্চায়েত ভোটের রোস্টারে ‘বেনিয়ম’? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জবাব ‘সন্তোষজনক নয়’। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আর্জি, মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেন পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি বা দিনক্ষণ ঘোষণা না করা হয়।
এদিন মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে। নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, ‘একদিন বা একরাতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা সম্ভব হয় না। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়সীমা জুলাই মাস পর্যন্ত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়ে ডিসেম্বরে মামলা দায়ের করা হয়েছে’। যদিও সেই যুক্তিতে ধোপে টেকেনি! আপাতত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটে বিজ্ঞপ্তি জারি না করার নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট ফেরানোর পরই হাইকোর্টে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করতে চেয়ে মামলা
কেন হাইকোর্টে মামলা? আগামী বছরের গোড়াতেই পঞ্চায়েত ভোট। ১৮ই অক্টোবর পঞ্চায়েত ভোটে ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ প্রকাশ করে কমিশন। সঙ্গে এসসি, এসটি ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের খসড়া তালিকাও। শুভেন্দুর অধিকারীর অভিযোগ, ‘তৃণমূলের ব্লকের নেতারা, যাঁরা একশোর দিনের টাকা চুরি করেছে, সীমাহীন কাটমানি, তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের সৃষ্টিকর্তা যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে বসে বিডিওরা এই কাজ করেছে’। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কমিশনের জবাব ‘সন্তোষজনক’ না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা। ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।