তিনি বলেন, “একই পার্টিতে একই আদর্শ নিয়ে কাজ করি। হতে পারে কোনও বিষয়ে দু’জনের মত আলাদা হয়। আর এটাই গণতন্ত্র। ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে গণতন্ত্র আছে, নিজের মনের কথা বলা যায়৷ এটা তার প্রমাণ। তার মানে আলাদা হয়ে গিয়েছে নাকি, তৃণমূলের মতো বন্দুক দিয়ে লড়াই হচ্ছে নাকি।” যদিও এনিয়ে সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের প্রয়োজনে আপনারা যে কোনও জিনিসকে বাড়ান বা কমান৷” প্রসঙ্গত, গতকালই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছে বলে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যম ভুল খবর পরিবেশন করছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)৷ এদিন একই সুর শোনা যায় দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলায়ও৷
উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ অনেকদিন ধরেই চলছে৷ অনেকবারই একে অপরকে নাম না করে খোঁচা দিতেও দেখা গিয়েছে দু’জনকেই৷ যদিও শুভেন্দু অধিকারীকে গতকাল বলতে শোনা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময় তিনি BJP-তে যোগদান করেছেন৷ তিনি দলের নেতা৷ এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “এটা বাস্তব আপনাদের জন্য বলতে হচ্ছে, এটা বলার দরকার নেই। একসঙ্গে লড়াই করে আমরা বাংলা পরিবর্তন করব, সে লড়াই চলছে। কালকে শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিন ছিল, আমি তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম, গতকাল দেখাও হয়েছে তাই আমি তাঁকে আলিঙ্গন করে আশীর্বাদ আর অভিনন্দন করেছি। এটা আমাদের পরম্পরা এটা চলছে। এখন সংবাদ মাধ্যম দেখাতে চাই BJP-র মধ্যে খুব ঝগড়া। কিন্তু ওটা হবে না।”
এমনকী, গতকাল তাঁদের মধ্যে দলের তরফে মধ্যস্থতা করা হয় বলেও যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাও এদিন খারিজ করে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “মধ্যস্থতা কেন হবে! যে বৈঠক ছিল তাতে আমাদের যত অবজার্ভার ছিলেন, সবাই আসেন৷ প্রদেশের চার-পাঁচজন লিডার ছিলেন। বাংলার আগামী দিনের ভবিষ্যতের, কার্যক্রম পলেসি মেকিং এর মিটিং হল।” আগামী পঞ্চায়েত নিয়ে আগে পরিকল্পনা হয়েছে, সেই কাজ কতটা এগিয়েছে আর কী কী করা উচিত সেই নিয়েই এই বৈঠকে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে এবং তার সঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ভোট পরবর্তী হিংসা খুব ব্যথিত বলে কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (Kolkata Film Festival) এসে বিগ বি অমিতাভ বচ্চন যে মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গে দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে এই ধরনের লোকজন যখন কমেন্ট করেন, সবারই চিন্তা ভাবনা করা উচিত। তাঁর যে বয়স, অভিজ্ঞতা, উনি একসময় রাজনীতিতেও এসেছেন, উনি বলছেন এই নিয়ে সবার চিন্তা করা দরকার৷ আর ভোট পরবর্তী হিংসা শুধু অমিতাভ বচ্চন নন, সারা ভারতবর্ষের সচেতন মানুষ চিন্তিত৷”