শনিবার ভোরে খয়রাশোলের (Khoyrasole) ভীমগড়ের চূড়র গ্রামে ইসকনের ভক্তি বেদান্ত ভোকেশনাল ট্রেনিং আশ্রমের ভজন কুঠিরে আগুন লাগে। ভয়াবহ আগুনে ভস্মিভূত হয়ে যায় মন্দির, মন্দিরের বিগ্রহ, তুলসী গাছ ও অন্যান্য সামগ্রী। ঘটনার সময় মন্দিরে ভক্ত উপস্থিত থাকলেও বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল ও পুলিশ। ভয়াবহ আগুনে মন্দিরের বিগ্রহ, তুলসী গাছ, পুজোর সামগ্রী, বিছানাপত্র সমস্ত কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার সময় ওই কুঠিরে মন্ত্রী রুইদাস নামে এক ভক্ত শুয়ে ছিলেন। তিনি কোনক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এদিকে ওই ঘটনার জেরে বিক্ষোভ প্রতিবাদের ছবি রাজ্য জুড়ে। প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ভক্তরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে ওঠে পথ অবরোধ । মন্দিরে আগুন লাগানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম কার্তিক চন্দ্র দাস,বাপ্পা গড়াই ও তাপস ধীবর । সোমবার বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বোলপুর সুরজিৎ দে জানান, অভিযুক্ত তিনজন ইসকন মন্দির সংলগ্ন একটি গাছের তলায় দীর্ঘদিন ধরে নেশা করত.।কিন্তু এই মন্দির থাকায় এলাকাবাসীরা অভিযুক্তদের নেশা করতে বাধা দেয় । বেশ কয়েকবার মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে ঝামেলা বাধে নেশাগ্রস্থ যুবকদের। বকাঝকার রাগে প্রতিশোধ নিতে মন্দিরে আগুন লাগায় অভিযুক্ত যুবকরা বলে দাবি পুলিশের । অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।