স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৯ টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ১ নং ব্লক তাপসিখাতা পারোরপার এলাকায় কৃষ্ণ রবিদাস নামে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তাঁর নিজের ছেলে গেনা রবিদাস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গেনা রবিদাস বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। এই নিয়ে তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। এদিন সকালে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়েছিলেন কৃষ্ণা রবিদাস। হঠাৎ বাড়িতে থাকা একটি দা নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় তাঁর ছেলে। কৃষ্ণা রবিদাসের গলায় ওই দা চালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
অভিযুক্ত ব্যক্তির ছেলে অমলেশ রবি দাস বলেন, “আমি স্থানীয় একটি পুলিশ ফাঁড়িতে কাজ করি। আমার মা চাষবাসের কাজের জন্য বাইরে ছিল। পরে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি এই অবস্থা ! বাবার মাথায় কিছু সমস্যা ছিল। যখন, যেটা ইচ্ছা, সেটা করতো। নিজের খেয়ালেই এরকম ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।”
বিষয়টি লক্ষ্য করে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্তারক্তি কাণ্ড দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় আলিপুরদুয়ার থানায় (Alipurduar Police Station)। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যান আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত গেনা রবিদাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা কাছেই বসেছিলাম। চিৎকার শুনে ওঁদের বাড়িতে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি এরকম অবস্থা। লোকটা অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিল। মাথার কোনও সমস্যা ছিল। ওঁদের বাড়ি থেকে অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছে, কিন্তু কিছু লাভ হয়নি। তবে এরকমভাবে নিজের বাবাকে মেরে ফেলবে এটা ভাবতে পারেনি।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সত্যি তাঁর কোনও মানসিক অসুস্থতা রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।