স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে দলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করে তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতি ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রতিনন্দন গ্রামে। আহত ওই পঞ্চায়েত সদস্য আজিদুল হক গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মাফুজার রহমান, আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় নাম দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা করে বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিচ্ছেন।
আজিদুল হক বলেন, “আমরা চারজন পঞ্চায়েত সদস্য কয়েকজনের কাগজপত্র BDO অফিসে জমা দিতে গিয়েছিলাম গতকাল। সেই সময় অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমান BDO অফিসে আমাদের সেই নাম জমা দিতে বাধা দেয়। পরে পুলিশ এলে আমরা সেই কাগজপত্র জমা দেই।” এই ঘটনার পরেই বুধবার সকালে অঞ্চল সভাপতি গুণ্ডা নিয়ে এসে আজিদুল হক-এর বাড়িতে ভাঙচুর করে, এমনকি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিতালদহ -১ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মাফুজার রহমান। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ (Dinhata Police Station)।
প্রসঙ্গত, দিনহাটার গিতালদহ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দীর্ঘদিনের। গত ২০১৮ সালের গিতালদহ -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন হন আবু আল আজাদ। কিছুদিন চলার পর গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিলে প্রধান পদে অপসারণ করা হয় এবং তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর এরপরই গিতালদহের ক্ষমতার রাশ হাতে আসে দলীয় বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া অনুগামী মাফুজুর রহমানের হাতে। তারপর থেকেই মাফুজার গোষ্ঠী এবং আবু আল আজাদ গোষ্ঠীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি বাধে। বুধবার সকালে তৃণমূলের যে পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করা হয়েছে সেই আজিদুল হক আবু আল আজাদ গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ বলে দাবি এলাকাবাসীর। গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের দিনহাটা-১ ব্লক সভাপতি সুধাংশু বর্মন বলেন, “গোটা ঘটনা জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”