অয়ন ঘোষাল: ২০২২ প্রায় শেষ হতে চলল, কিন্তু শীতের আমেজ যেন তেমন নেই। রাতে ও সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও রোদ উঠলেই যেন প্যাভেলিয়ান ছাড়ছে শীত। ময়দানে দুপুরের আলতো রোদ গায়ে মেখে কমলালেবু খাওয়া তো দূর, কফি চুমুকেও যেন পরিচিত শীতকে তেমনভাবে পাচ্ছে না বাংলা। প্রশ্ন এখন একটাই বর্ষশেষে শীতের খেল কি বজায় থাকবে বর্ষবরণেও?
আরও পড়ুন, Khanakul: শ্লীলতাহানির চেষ্টা থানার ওসি-র? ব্য়বস্থা না নিলে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূলনেত্রীর!
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উষ্ণ ডিসেম্বরের হাত থেকে খুব সম্ভবত রেহাই কাল থেকে। মঙ্গলবার রাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৭ ডিগ্রি বেশি ছিল। ডিসেম্বরের শহরে যা রেকর্ড তো বটেই। কাল রাতের তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কাল দিনের তাপমাত্রায় সামান্য পতন হয়েছে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা। ভোর রাতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার দক্ষিণ ভাগ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশে।
রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত ফেরার সম্ভাবনা কি আদৌ রয়েছে?
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ থেকে রাজ্যে হাওয়া বদল হবে। কিন্তু খুব বেশি আশান্বিত হওয়ার কারণ নেই। বর্ষবরণ এবং নববর্ষে জাঁকিয়ে শীতের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জান্না হয়েছে। বুধবার থেকে আগামী ৫ দিনে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ পতন হতে পারে। বর্ষবরণের দিনে তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৫ ডিগ্রি। এতে শীতের আমেজ বহাল থাকবে। কিন্তু তাকে জাঁকিয়ে শীত বলা যাবে না।
বর্ষবরণে জাঁকিয়ে শীত না পড়ার কারণ কী?
মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে বর্ষ শেষে। ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এর ফলে বর্ষবরণে তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না।
তাহলে জাঁকিয়ে শীত কবে?
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি জাঁকিয়ে শীতের একটা ছোট্ট ইনিংস অপেক্ষা করছে কলকাতার জন্য। ৪ জানুয়ারি থেকে দশ জানুয়ারির মধ্যে দিন তিনেকের জন্য জমে যাওয়া শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং পেতে পারে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য।