উদ্বোধন হল বহু প্রতীক্ষিত জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের (Joka Taratala Metro)। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। তাঁর রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। পুরনো স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তব্যের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম। বেহালা মেট্রোর বাস্তবায়নের পিছনে প্রাক্তন কলকাতা মেয়রের অবদানের উল্লেখ করেন তিনি। দিদির মুখে প্রশংসা শুনে আপ্লুত শোভন চট্টোপাধ্যায়ও (Sovan Chatterjee)। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। কী বললেন তাঁরা?

Joka Taratala Metro: ‘তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়…’, কানন-প্রশংসায় মুখর মমতা
মমতাকে ধন্যবাদ জানালেন শোভন

এদিন এই সময় ডিজিটালকে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বেহালা মেট্রো ঐতিহাসিক প্রকল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প এটি। ২০০৯ সালে যখন আমরা শুনেছিলাম, অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়েছিলাম। বহু বাধা, বিঘ্ন ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আজ সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। আমার কথা যেভাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাতে আমি আনন্দিত, গর্বিত। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁকে। যখনই তাঁর কোনও নির্দেশ বা ইচ্ছা কিংবা উপদেশ থাকত, তখন তা বাস্তবায়িত করা আমার মূল কর্তব্য হিসেবেই মনে করতাম। এখনও তাই করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ৪৪ বছরের সম্পর্ক। মান অভিমান থাকতেই পারে কিন্তু, তাঁর সৌজন্যবোধে কোনওদিন কোনও ঘাটতি দেখিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও কী ভাবে সৌজন্য দেখাতে হয়।” শোভন চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “RVNL-এর যিনি জিএম ছিলেন তিনি আজ ম্যানেজিং ডায়রেক্টর। আমার কাছে মিষ্টি পাঠিয়ে সৌজন্য দেখিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইন্দোরেও মেট্রোর কাজ চলছে। আসলে বহু অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হয়েছে আমাকে।” জানা গিয়েছে, এদিনের বক্তব্যের পর আপ্লুত শোভন চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

Narendra Modi : ‘কথা দিয়েও আসতে পারিনি, ক্ষমা করুন! মাতৃশোকেরও মধ্যেও সৌজন্য অটুট মোদীর
কেঁদে ফেললেন বৈশাখী

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই ওঁকে কাজের ছেলে হিসেবেই দেখেছেন। ব্যক্তিগত পরিসরে যখন আমাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়, শোভনের ভাবনাচিন্তা, কর্মপ্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা কলকাতা থেকে অনেক দূরে। বেহালার মানুষের মুখে এই কথা শুনতে পেলাম। বেহালার মানুষ দেখেছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শোভন কী ভূমিকা পালন করেছিল। তাই তাঁরাও উচ্ছ্বসিত। শোভনের জন্য এটা বড় প্রাপ্তি। এই বছরের সেরা প্রাপ্তি এটা। এত ব্যস্ততার দিন, এত বড় অনুষ্ঠানের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পিছনে যারা কাজ করেছিল, তাঁদের উনি মনে রেখেছেন। সকলকে নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন তিনি। আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে এসেছিল। কেউ একটি পদে থাকাকালীন তাঁর প্রশংসা এক জিনিস কিন্তু, ওঁর কাজ যখন মনে রাখা হয়েছে, সেটা একটা বড় পাওনা তো বটেই। রাজ্যের প্রধানের মুখ থেকে এই প্রশংসা আরও বাড়তি পাওনা। শোভন এবং দিদির সম্পর্কের জায়গায় মান অভিমান ছিল। সেই অভিমানের মেঘ আগেই কেটে গিয়েছে। কিন্তু, দিদি তাঁকে কখনই স্নেহের থেকে শোভনকে বঞ্চিত করেননি।”

Behala Metro : বেহালাবাসীর নিউ ইয়ার গিফট! বছর শেষে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চাকা গড়াবে মেট্রোর
শুভেন্দুর মন্তব্যের নিন্দা

এদিন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন শোভন-বৈশাখী (Sovan Baisakhi)। প্রাক্তন মেয়র বলেন, “সরকারি অনুষ্ঠানে যেভাবে বিরোধী দলনেতা কুৎসা করছেন, অপপ্রচার করছেন এবং যে ভাষায় আক্রমণ করছেন, তার নিন্দা জানাচ্ছি। তাঁর নাম মুখে আনতেই খারাপ লাগছে। তৃণমূল কংগ্রেসের আচারে যার জন্ম, তাঁর মুখে এই ভাষা সত্যি নিন্দনীয়। বাংলার মানুষ কিন্তু সমস্ত বিষয় নিয়ে সজাগ।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version