ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী (Uttar Dinajpur News)। তবে কীভাবে এই বিধ্বংসী আগুন লাগল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। এত বড় গুদামে অগ্নি নির্বাপনের তেমন কোনও ব্যবস্থা না থাকায় প্রশ্ন উঠছে মালিকদের গাফিলতির দিকে। দমকলের ৭ টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। বসানো হয়েছে ট্রেলার পাম্প। মালদা ও উত্তর দিনাজপুর জেলার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার স্বপন কুমার দাস বলেন, “উত্তর দিনাজপুর জেলার সবকটি ফায়ারস্টেশন সহ মালদা জেলা থেকেও দমকলের ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে”। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রিত বলে জানান তিনি। তবে এত বড় গোডাউনে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর ফলে তাঁদের সাধারন জীবনযাপন ও নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। অন্যদিকে, গুদামে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গুদাম মালিক পোখরাজ সিন্ধ্রি। তাঁর কথায়, “কোনোদিন এই ধরনের ঘটনা চাক্ষুষ করিনি। জীবনে এই প্রথম এত বড় অগ্নিকান্ড হতে দেখলাম। এই ধরনের ঘটনার অভিজ্ঞতা না থাকায় অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা রাখার কথা কোনোদিন মাথাতেই আসেনি”।
সম্প্রতি কলকাতার ট্যাংরায় প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় প্রাথমিকভাবে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। চারপাশে ঘন জনবসতি থাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এছাড়াও সম্প্রতি গড়িয়ায় স্টেশনের কাছে তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায় জনবহুল জায়গায় ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। আগুনের গ্রাসে চলে যায় আস্ত একটি বাড়ি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।