West Bengal Local News”একজন দেহ ব্যবসায়ীর অধীনে চলে গেছে সোনামুখীর বিডিও অফিস।” বিস্ফোরক অভিযোগ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের (Saumitra Khan)। মঙ্গলবার সোনামুখী বিডিও অফিসে (Sonamukhi BDO office) দলের তরফে এক ডেপুটেশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য শোনা যায় বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁয়ের গলায়। এখানেই শেষ নয়, সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ।

সোনামুখী বিডিও অফিস নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ (BJP MP) সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ, ”হোটেলে দেহব্যবসা হয়, ঐ দেহ ব্যবসায়ীর কথায় এখানকার বিডিও চলছেন। এভাবে চললে সোনামুখীর উন্নয়ন কীভাবে হবে।” প্রশ্ন তোলেন সাংসদ।

দেহ ব্যবসায়ী বলতে কাকে নিশানা-

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌমিত্র জানান, দেহ ব্যবসায়ী বলতে তিনি একজন INTTUC নেতাকে উল্লেখ করেছেন। যদিও তিনি সেই নেতার নাম করেননি তবে বলেন, ”তাবিজ, মাদুলি আর কবজ যাই লাগাক, কাজে লাগবে না। তৃণমূল এখন শেষের মুখে। ‘দেহ ব্যবসায়ী’ শহরে গ্রামে বাড়ি বিক্রি করছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত সংশ্লিষ্ট সরকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তাঁদের দলের তরফে মামলা করা হবে।” সবাই ‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন না, পেনশন আটকে যাবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

BJP West Bengal : ‘চোরদের কারিগর…’, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত BJP নেতার

সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া-

বিজেপি সাংসদের এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবে বিতর্কের ঝড় রাজ্য রাজনীতিতে। পালটা জবাব দিয়েছে শাসক শিবিরও। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা আই.এন.টি.টি.ইউ.সি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ”দেহ ব্যবসার জায়গাগুলো সৌমিত্র খাঁ বেশি জানেন, কারণ বাংলার প্রত্যেকটা দেহ ব্যবসার জায়গায় ওঁর যাতায়াত আছে।” আর এই কথা সৌমিত্র পত্নী সুজাতাই বলেন বলে তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ”উনি সাংসদ হয়েছেন, এটা বিষ্ণুপুর তথা বাংলার দুর্ভাগ্য।”

তৃণমূল নেতাকে হোটেলে দেহ ব্যবসা’ কটাক্ষের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”এই বিষয়টা সৌমিত্র খাঁ ভালো বলতে পারবেন। কারণ আমার ‘হোটেলের বারো আনা ভাগ মালিক এক বিজেপি নেতা, যার বাড়ির সঙ্গে সৌমিত্রের নিয়মিত যোগাযোগ আছে’। সৌমিত্র খাঁ ‘পাগল’ তাই ওনার কথার উত্তর দেওয়া মানেই ‘মুখ নষ্ট’।”
Khagen Murmu : BJP সাংসদের গাড়ি ঘেরাও করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের, হরিশ্চন্দ্রপুরে ধুন্ধুমার

এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-কেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ”দুয়ারে চোর, চোরের লোগো, চোরেদের সুরক্ষা কবজ নিয়ে বের হচ্ছে। যেখানেই সুরক্ষা কবজের লোগো দেখা যাবে সেখানেই বুঝে নিতে হবে চোরের দল রয়েছে। গাড়িতে লোগো লাগানো থাকলে বুঝতে হবে গাড়িতে চোর আছে এবং বাড়িতে লোগো লাগানো থাকলে বোঝা যাবে সেই বাড়িতেই চোর আছে। আসলে চোরেদের ভালো রাখার জন্য দিদি তাদের সুরক্ষা কবজ দিয়েছে।” আবাস প্রকল্প ইস্যুতে গলসি ২ এর বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নামে থানায় গণ FIR করার নির্দেশ সৌমিত্র খাঁয়ের।সপাশাপাশি, গলসি ২ এর বিডিওকে উলঙ্গ বিডিও বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সাংসদ।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version