West Bengal News : নদীয়ার রানাঘাটে (Ranaghat) আয়কর দফতরের (Income Tax Department) কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট থানার (Ranaghat Police Station) অন্তর্গত রানাঘাট ভাংড়াপাড়া পাইকারি বাজারে। ওই ব্যক্তি পাইকারি ব্যবসাদার শঙ্কর সরকারের দোকানে গিয়ে পরিচয় দেয় আয়কর দফতরের (Income Tax Department) কর্মী বলে। সেই সময় দোকানে ছিলেন না দোকানের মালিক শংকর সরকার। বিশেষ কাজে তিনি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। দোকানের কর্মচারীর কাছ থেকে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন শঙ্কর বাবু। দোকানের কর্মচারীর কাছে দ্রুত হাজার টাকা দাবি করেন ওই ব্যক্তি। টাকা না দিলে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা আসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। খবর পেয়ে দোকানে ছুটে আসেন দোকানের মালিক শঙ্কর সরকার।
তারপরেই বিষয়টি সন্দেহ হলে বাজার কমিটিকে জানান। বাজার কমিটির তরফ থেকে একাধিক ব্যবসায়ী সহ বাজারের সেক্রেটারি ঘটনাস্থলে আসেন। সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি রানাঘাট থানায় (Ranaghat Police Station) জানানো হয় রানাঘাট বাজার কমিটির তরফ থেকে। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ঘটনাস্থলেই পুলিশের জেরার মুখে আসল সত্যি কথা বলে ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় রানাঘাট বাজার চত্বরে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ (Ranaghat Police Station)। কি কারনে ওই ব্যক্তি এমন তোলাবাজি করতে গেলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশ এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি না হলেও তাঁদের তরফে জানানো হয়, আসল সত্য উদ্ঘাটিত হলেই পুলিশের তরফ থেকে সব জানানো হবে।
তারপরেই বিষয়টি সন্দেহ হলে বাজার কমিটিকে জানান। বাজার কমিটির তরফ থেকে একাধিক ব্যবসায়ী সহ বাজারের সেক্রেটারি ঘটনাস্থলে আসেন। সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি রানাঘাট থানায় (Ranaghat Police Station) জানানো হয় রানাঘাট বাজার কমিটির তরফ থেকে। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ঘটনাস্থলেই পুলিশের জেরার মুখে আসল সত্যি কথা বলে ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় রানাঘাট বাজার চত্বরে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ (Ranaghat Police Station)। কি কারনে ওই ব্যক্তি এমন তোলাবাজি করতে গেলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশ এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি না হলেও তাঁদের তরফে জানানো হয়, আসল সত্য উদ্ঘাটিত হলেই পুলিশের তরফ থেকে সব জানানো হবে।
ব্যবসায়ী শঙ্কর সরকার এই বিষয়ে বলেন, “আমি দোকানের কর্মচারীর থেকে ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি দোকানে ছুটে আসি। আমার প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল, কারন আয়কর দফতর থেকে এভাবে লোক পাঠিয়ে কখনও টাকা চাওয়া হয়না। বিষয়টা আমি জানতাম, তাই দোকানে এসেই লোকটিকে কথাতে আটকে রেখে বাজারের বাকি সদস্যদের ডেকে আনি। তাতেই লোকটি ভয় পেয়ে যায়। পরে বাজার কমিটির লোকেরাই পুলিশে খবর দেন।”
উল্লেখ্য, আয়কর দফতরের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যে নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করা হয়না। যদি কারোর বার্ষিক আয়কর দেওয়া বাকি থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির কাছে লিখিত ভাবে বা ইমেল মারফত নোটিশ পাঠানো হয়, যাতে ওই ব্যক্তি বাকি থাকা আয়কর জমা দেওয়ার ন্যুনতম সময় পান। আজকের ঘটনার পর এইসব ছোটখাটো বিষয়গুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।