Pori Moni, Sariful Razz, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্ষবরণের রাত থেকেই পরীমণি ও শরিফুল রাজের বিচ্ছেদ নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। নেটপাড়ায় বিচ্ছেদের পোস্ট দেন পরীমণি। কিন্তু প্রায় দুই দিন এই বিষয়ে মুখ খোলেননি শরিফুল রাজ। বছর শেষের রাতে রাজের বাড়ি ছেড়েছিলেন পরী। তবে শোনা যাচ্ছে, আপাতত সেই বাড়িতেই ছেলে রাজ্যকে নিয়ে থাকছেন তিনি। রাজ জানিয়েছেন যে, তাঁর তরফ থেকে বিচ্ছেদের কোনও চিন্তা নেই। পাশাপাশি বিছানায় রক্তের দাগের যে ছবি পোস্ট করেছিলেন পরীমণি, সেই ছবি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ।

আরও পড়ুন-Sabyasachi Chowdhury: একেবারে অন্য লুকে সেটে ফিরলেন সব্যসাচী, ঐন্দ্রিলার মা লিখলেন…

বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে রাজ বলেন, ‘পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সরাসরি আমাকে কিছুই বলেনি, স্ট্যাটাস দিয়ে জাতিকে বলেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমি কিছুই জানি না। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথাও হয়নি। বাইরে বাইরে শুনছি, ফেসবুকে দেখছি। সংসারে ঝগড়াঝাঁটি, হাতাহাতি হয়। প্রতিটি সংসারে কিছু না কিছু ঝামেলা থাকে, আবার মিটেও যায়। কিন্তু বাড়ির খবর, ঘরের খবর এভাবে দেশবাসীকে জানিয়ে কোনো সমাধান কি হয়? নিজেরাই সমাধান করতে হয়। আমার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের কোনো বিষয় নাই। কিন্তু পরী যদি চায়, তাহলে তো কিছু করার নাই। বিচ্ছেদ হয়ে যাবে আমাদের। তবে সম্পর্ক টিকে থাকার চেষ্টা করব আমি।’

বিচ্ছেদের চিঠি প্রসঙ্গে রাজ বলেন, ‘বিচ্ছেদের চিঠি দিলে নব্বই দিন সময় থাকে। সেই নব্বই দিনের মধ্যে কিছুদিন ধরে চেষ্টা করব ঠিকঠাক করার। যদি একান্তই না হয়, তাহলে যা হওয়ার তা-ই হবে। তবে আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই, হয়তো আমাদের দুজনেরই দোষত্রুটি আছে। এক হাতে তো তালি বাজে না। পরী যে রক্ত মাখা বিছানার ছবি দিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কার রক্তের ছবি ওটি।’ সম্প্রতি তাঁদের এক পরিচারিকা দাবি করেছিলেন, অ্যাকোরিয়াম ভেঙে গিয়েছিল বাড়িতে। সেই থেকেই হাত কেটেছিল রাজের। ঐ বিছানার রক্তের দাগ আসলে রাজেরই।

আরও পড়ুন- Shiboprasad Mukherjee| Haami 2: প্রতি দু বছরে অন্তত একটা করে ছোটদের নিয়ে ছবি তৈরি করব: শিবপ্রসাদ

সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে শিরিন লেখেন, ‘শুভ কামনা বন্ধু পরীমণি। সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আবার নতুন করে সুখের সংসার গড়ে তোলার জন্য। যারা পরীমণির সংসারে ভাঙন দেখে খুশি হয়েছিলে, তারা বিষ খেয়ে মরে যাও কারণ যারা মানুষের সুখ দেখতে পারে না, তাদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। পরী-রাজ, রাজ্যের জয় হোক।’ কিন্তু পরে আবার সেই কথা অস্বীকার করেন পরীমণি। এক সংবাদমাধ্যমে জানান, এ তথ্য ভুল। দু’জনের কেউই সংসার জোড়া লাগানোর জন্য চেষ্টা করছেন না। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হতে হয় শিরিনকে। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, শিরিনের কথাই আসলে সত্যি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version