ফের শাসকের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত কেশপুর। কেশপুরের (Keshpur) শাকপুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। জখম এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সহ চার জন। দিন কয়েক ধরে বারবার শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কেশপুর। একইভাবে বুধবার সকালে কেশপুরের শাকপুর এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীকে মারধরের অভিযোগ আরেক ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এদিন সকালে চা দোকানে বসে থাকার সময় অতর্কিত হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সহ চারজন।
আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে (Keshpur Rural Hospital)। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইতিমধ্যেই একজনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Medinipur Medical College Hospital)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেশপুর থানার (Keshpur Police Station) বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজার দাবি, “এটি সম্পূর্ণই পারিবারিক বিবাদ।” অন্যদিকে মন্ত্রী শিউলি সাহার দাবি, “ঘটনা যাই ঘটুক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।” এই ঘটনায় শাসক দলকে বিধেছে BJP। তৃণমূলকে করা নিশানা জেলা BJP মুখপাত্র অরূপ দাসের।
প্রসঙ্গত, গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর জন্য সোমবার সন্ধায় শিউলি সাহার বিধায়ক কার্যালয়ে ডাকা হয় দুই বিক্ষুব্ধ ছাত্র নেতাকে। দুই ছাত্র নেতাকে চপ খাইয়ে বিরোধ মেটানোর বার্তা দেওয়া হয় ওই বৈঠক থেকে। সকলকে সঙ্গে করে আগামী দিনে পথ চলার বার্তা দেন মন্ত্রী শিউলি সাহা। উল্লেখ্য, ব্লক সভাপতি পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই কেশপুরে আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গিয়েছে শাসক শিবিরের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর মধ্যে। নভেম্বর মাস থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দিন তিনেক আগেই কেশপুর কলেজে গভর্নিং বডির বৈঠক ঘিরে প্রকাশ্যে আসে শাসকদলের কোন্দল। কেশপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয় তিন মাসের জন্য। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি এবং জেলা তৃণমূলের সভাপতি বসে নতুন করে ইউনিট গঠন করবে বলে জানানো হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।