West Bengal Local News: ঘুড়ি ধরতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিণতি ছাত্রের। রেল লাইনে উড়ন্ত ঘুড়ি ধরতে গিয়ে মারা গিয়েছে ওই নাবালক। মৃতের নাম রাজগুরু চ্যাটার্জী (১৪)। বর্ধমান শহরের নাড়ি অরবিন্দপল্লীর বাসিন্দা রাজগুরু বর্ধমান টাউন স্কুলের (Budwan Town School) নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল, স্থানীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। জিআরপি ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে কালনা গেট বাঁকা ব্রিজের কাছে খেলতে গিয়েছিল রাজগুরু। সেখানে খেলার সময় একটি ঘুড়িকে উড়ে আসতে দেখে সে। ঘুড়ি টিকে ধরতে গিয়ে ভুলবশত রেললাইনের ওপর চলে আসে সে। অন্যমনস্ক থাকার কারণে লাইনের ওপর দিয়ে ছুটে আসা ট্রেন তাঁর নজরে পড়েনি। সেইসময়ই দুরন্তগতিতে আসা একটি ট্রেন ধাক্কা (Train Accident) মারে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই ওই নাবালকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় GRP। তার মৃতদেহ তুলে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজগুরুর পরিবারে। মৃতের বাবা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যা বলেন, ‘ও সাধারণত পাড়াতেই খেলাধূলা করে। মঙ্গলবারই কালনা ব্রিজের ওখানে এক বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিল। বন্ধু প্রাণে বেঁচে গেলেও ও বেরিয়ে আসতে পারেনি। ও ট্রেনে কাটা পড়েনি, ধাক্কা লেগে ওঁর মৃত্যু হয়েছে। নাক ও মুখ থেকে রক্ত বেরিয়েছে। ও বাড়ি না ফেরায় আমরা এদিন-ওদিক খোঁজাখুঁজি করছিল। তখনই আমাকে ফোন করে জাননো হয়। আমি যখন যাই, তখন ওর দেহ তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। কাল দেহ সনাক্তকরণের প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। তারপরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়।’
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজগুরুর পরিবারে। মৃতের বাবা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যা বলেন, ‘ও সাধারণত পাড়াতেই খেলাধূলা করে। মঙ্গলবারই কালনা ব্রিজের ওখানে এক বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিল। বন্ধু প্রাণে বেঁচে গেলেও ও বেরিয়ে আসতে পারেনি। ও ট্রেনে কাটা পড়েনি, ধাক্কা লেগে ওঁর মৃত্যু হয়েছে। নাক ও মুখ থেকে রক্ত বেরিয়েছে। ও বাড়ি না ফেরায় আমরা এদিন-ওদিক খোঁজাখুঁজি করছিল। তখনই আমাকে ফোন করে জাননো হয়। আমি যখন যাই, তখন ওর দেহ তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। কাল দেহ সনাক্তকরণের প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। তারপরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়।’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তবাবুর এই একটি মাত্র সন্তান। তাঁকে হারিয়ে তিনি কী করবে বুঝে উঠতে পারছেন না। মৃত নাবালকের মামা বলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলবার স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এসে বিকেলে খেলা করতে বেরিয়েছিল। আমার বোন একটু অসুস্থ, নার্ভের রোগী। ভেবেছিল পাড়াতেই খেলছে। পরে এদিক ওদিক খোঁজ খবর শুরু হয়। পরে জানা যায় দুর্ঘটনার কথা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘুড়ি ধরতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ও খুব মেধাবী ছেলে ছিল। পড়াশুনোর পাশাপাশি গানবাজনা ও আবৃত্তিও করত।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।