বৃহস্পতিবার দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচির সূচনা ছিলো ভাঙড়ের হাজারাকালী মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে। সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। মন্দিরে পূজো দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করার পরই প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আরাবুল ইসলামকে নিয়ে বেরিয়ে পরেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা ডায়মন্ডহারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিষ চক্রবর্তী। তারপরেই ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, রহিম মোল্লা সহ আরাবুল বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মন্দির প্রাঙ্গণে বসে তারা শুভাশিস চক্রবর্তী ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাঁধিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেন।
রেজাউলের অভিযোগ, “আমাদের দলনেত্রী মমতা দিদি ও আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেছেন দলের অভ্যন্তরে কোনও দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না, সবাইকে নিয়ে মিলে মিশে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) একটা পরিবার। কিন্তু এই এলাকায় আরাবুল ও শুভাশিস বাবু সেই কথা মেনে চলছেন না। আমাকে এবং কিছু কর্মীদের এড়িয়ে চলছেন। এটা ঠিক নয়।”
যুব তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা রশিদ মোল্লা বলেন, “শুভাশিস চক্রবর্তী লবি বাঁধিয়ে দিচ্ছেন, রেজাউল করিমকে না নিয়েই কর্মসূচিতে চলে যাচ্ছেন। একজনই লবি বাজি করছেন, তিনি হলেন শুভাশিস চক্রবর্তী। আজকের কর্মসূচিতে ওনার কোনও ভূমিকা নেই।” একথা জানিয়ে আরাবুল ইসলাম ও শুভাশিস চক্রবর্তীর কর্মসূচিতে যোগ দিলেন না এই বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। দলের মধ্যে বিভাজন করছেন শুভাশিস চক্রবর্তী, দাবি আরাবুল বিরোধী রেজাউল গোষ্ঠীর নেতা কর্মীদের। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ওপরতলার নেতৃত্ব আমাদের যা নির্দেশ দেন, সেই ভাবেই আমরা কর্মসূচি পালন করি। এখানে আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই। যারা এসব বলে কুৎসা করছে, তারা পার্টির কেউ নয়।”