ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার (West Bengal Government) যাতে চাষিদের উৎপাদিত ফসল চাষিরাই বিক্রি করতে পারে এবং বিক্রি করে স্বনির্ভর হতে পারে তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করে চলেছে। তারই মাঝে স্থানীয় মানুষদের উদ্যোগে এই ধরনের হাট গড়ে ওঠায় খুশি ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই। হাটে আসা এক বিক্রেতা জানালেন, “এই হাট তৈরি হয়ে আমাদের খুব উপকার হল। এখানে আমরা সরাসরি আমাদের ফসল বিক্রি করতে পারব। পুরো লাভটাই আমাদের ঘরেই উঠবে। নাহলে বেশিরভাগ লাভটা মহাজন ও ফড়েদের দিতেই শেষ হয়ে যায়। চাষিদের ভাগে জোটে নামমাত্র”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাঁশকুড়ার ফুলকে সারা দেশ ব্যাপী বিখ্যাত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বছরের প্রায় সারা সময়ের পাশাপাশি এই শীতকালে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয় পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। তবে পাঁশকুড়ার ফুল চাষিরা শুধুমাত্র ফুল ফুটিয়ে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্ধারণে ক্ষান্ত হন না। নিজেদের বাগানের ফোটা ফুল থেকেই তৈরি করেন ফুলের গাছ। ফলে একদিকে বাজারে ফুল বিক্রি না হলেও ততটা ক্ষতির মুখ দেখতে হয় না এখানকার ফুল চাষীদের। পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় চন্দ্রমল্লিকা গ্যডিওলাস সহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন ফুলের চাষ হয়। আর এক্ষেত্রে চাষিদের যেমন নিজস্ব প্রচেষ্টা রয়েছে, তেমনি স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও ফুল ও অন্যান্য চাষিদের যথেষ্ট সাহায্য করা হচ্ছে।