Dev, Mithun Chakraborty, অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রজাপতির সাফল্য সেলিব্রেশনে এসে বিতর্ক উসকে দিলেন মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার ছিল প্রজাপতি মুক্তির ২৫তম দিন। বিগত তিন সপ্তাহ ধরেই এই ছবি পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন হলে হাউজফুল ছিল। ‘প্রজাপতি’ মুক্তির পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন যে, মিঠুন চক্রবর্তীর খারাপ অভিনয়ের জন্য এই ছবি চলছে না। এদিন পার্টিতে এসেই সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন মিঠুন। মেগাস্টার এদিন বলেন, ‘দেবকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কারণ তিনিই এখন ঐ পার্টির শেষ কথা। কিন্তু দেব ভয় পায়নি। দেব অভিনেতা হিসাবেই উত্তর দিয়েছে।’ সোমবারের পার্টিতেই মিঠুনের মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলেন দেব।
দেব জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, ‘না, না আমাকে কেউ ভয় দেখায়নি। এটা মিঠুনদার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা আসলে বাংলা সিনেমার জয়। আমি কোনও তর্ক বিতর্কে যেতে চাই না। কে কী বলেছে, তার উত্তরও দিতে চাইছি না। মিঠুনদার সঙ্গে স্নেহের সম্পর্ক। মিঠুনদা ফোনেই আমাদের থেকে সব শুনেছেন। অনেকদিন আগে থেকে প্ল্যান হয়েছিল যে, আজ ২৫ দিনের সেলিব্রেশনে মিঠুনদা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। আমার মনে হয়, আর নন্দন নিয়ে আমাদের কোনও ক্ষোভ নেই। নন্দন চেয়েছিলাম কারণ যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ দেখতে পায়। এমনিই সারা দেশ জুড়ে মানুষ এই ছবি দেখছে। আজও হাউজফুল। অনেকবছর পর একটা বাংলা ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে। সারা ভারতে মুক্তি পেলেও সব ছবি প্রথম সপ্তাহ পরেই নেমে যায় কিন্তু আমাদের ছবি চলছে। মনে হচ্ছে রিপাবলিক ডে-র সপ্তাহ ধরেও চলবে। এরপর গোটা বিশ্বে এই ছবি রিলিজ হবে। অনেক নতুন নতুন দেশে এই ছবি রিলিজ করবে। যেখানে আগে কোনও বাংলা ছবি রিলিজ করেনি। ৩ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে প্রজাপতি রিলিজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দাদার প্রশ্নের উত্তর দেব না। দাদা পার্টি এনজয় করুক। আমাদের দেশে সবকিছুর সঙ্গেই রাজনীতির সম্পর্ক থাকে। আমি সবসময় তার উর্ধ্বে ও বিরুদ্ধে আছি। আমি আজও কোনও মন্তব্য করব না, যেখানে কাউকে ছোট করা হয়। কাউকে ছোট করে আমি আমার ছবিকে বড় করব না। আমি খুশি যে, ২৫ দিনে ছবিটা হাউজফুল। আমি খুশি যে, বাংলা ছবি নিয়ে লোকে কথা বলছে। আমি খুশি যে সারা ভারতে একটা বাংলা ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে যার প্রযোজক ও অভিনেতা আমি। এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। হলে যে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি সেটা শব্দে বোঝাতে পারব না। সিনেমা হিট, সুপারহিট, ব্লকবাস্টার হয় কিন্তু এটা একটা ইমোশন।’