কিন্তু তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত ‘মেরি সহেলি’ দলের লেডি কনস্টেবল সুলতা মণ্ডল ও আরও একজন যাত্রীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে মহিলা যাত্রীর মূল্যবান জীবন বাঁচানো হয়। পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধ দম্পতি যাত্রীকে ট্রেনে ওঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ওই বৃদ্ধ দম্পতির কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
মালদা ডিভিশনের (Division) রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF), যাত্রীদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের প্রয়াসে, বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে যাত্রীদের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য প্রদান করতে সবসময় এক পা এগিয়ে। তারা সর্বদা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ঠিক এই জন্যই চালু করা হয়েছে ‘অপারেশন জীবন রক্ষা’। ঠিক একইরকম ভাবে মাসখানেক আগে মালদহ ডিভিশনেই এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির প্রাণ বাঁচানো হয়। রেল দফতর সূত্রে খবর, এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি কোনও ভাবে গিয়ে মালগাড়ির নীচে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানেই আটকে থাকেন তিনি। মালগাড়ি চলছিল। আর একটি বগির নীচে ঝুলে ছিলেন ওই ব্যক্তি। আর বাঁচার জন্য ছটফট করছিলেন।
কিন্তু বেরোতে পারছিলেন না। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়লেই মৃত্যু হত। মালদার মির্জাচৌকি রেল স্টেশনের কাছে এই দৃশ্য নজরে আসে এক RPF কর্মীর। তিনি তড়িঘড়ি খবর পাঠান দফতরে। লাল পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মালদার দিকে ছুটে চলা ওই মালগাড়ির উদ্দেশে। চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তিনি ট্রেন থামান। এরপর দৌড়ে বগির তলায় ঢুকে পড়েন ওই RPF কর্মী। প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে নিজে বগির তলা থেকে টেনে হিঁচড়ে উদ্ধার করেন ওই ব্যক্তিকে। উদ্ধার করার ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। দু’মাসে অসম সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে এই প্রাণ বাঁচানোর ঘটনাগুলি এখন সাধারন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে।