Pradhan Mantri Awas Yojana Survey মালদার পর এবার পূর্ব মেদিনীপুর। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রবল ভর্ৎসনার মুখে মহিষাদলের বিডিও। সংবাদমাধ্যম ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতেই ধমক কেন্দ্রীয় দলের। আবাস যোজনায় গাফিলতির খোঁজ মিলতেই মহিষাদলের বিডিও-কে তিরস্কার। বলেন, ”হয় ভুল করেছেন, নইলে কারও চাপে পড়ে কাজ করেছেন।”

Pradhan Mantri Awas Yojana : ‘ভেরিফিকেশন ঠিক মতো হয়নি?’ BDO কে প্রশ্ন আবাসের তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় দলের

জানা গিয়েছে, মহিষাদলের দেবপুঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে আবাস দলের সামনে আসে একটি তথ্য। কেন্দ্রীয় দল তালিকা সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন করিম আলি বলে এক ব্যক্তির নাম সেখানে রয়েছে। কিন্তু, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় করিম আলি একটি টালির চালের বাড়িতে থাকেন বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী টালির বাড়ির একফালি ঘরে করিম আলি ও তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর ছেলে-বউ ও তাদের ২ সন্তান। অতটুকু ঘরে এতজন থাকা যে অসম্ভব ব্যাপার তা শুনেই বুঝে যান প্রতিনিধি দল। বিডিও-কে সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আধিকারিক। বলেন, ”প্রমাণ করে দেখেন কী করে এত জন এই একবাড়িতে থাকতে পারেন। আপনার বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ মানুষ এটা বিশ্বাস করলেন কী করে? হয় ভুল করছেন নয় কারও চাপে পড়ে কাজ করছেন। চোখ খুলে যাচাই করেছেন না চোখ বন্ধ করে?”

PM Awas Yojana: বাংলার বাড়ির মালিক বিহারের বাসিন্দা! আবাস-অনিয়ম নিয়ে মুখ খুললেন DM

করিম আলির বাড়ির পাশের একটি পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে। সেটি করিম আলির বলে খবর ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে। পরে চাপে পড়ে করিম আলি স্বীকার করেন মাটির বাড়িতে তিনি থাকেন একথা ঠিকই। পাকা দোতলা বাড়িতে থাকে তাঁর ছেলে বউমা। কেন্দ্রীয় দলের আধিকারিকের সন্দেহ তিনি টাকা দিয়ে নাম তুলেছেন। সরাসরি সকলের সামনে বিডিও-কে দেখিয়ে সেই প্রশ্নও করেন এবং বলেন, ”টাকা দিয়ে নাম তুলেছেন তো টাকা ফেরত নিয়ে নিন। কারণ পাখি এখন উড়ে গিয়েছে।”

এদিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল, মহিষাদলের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল, জয়েন্ট বিডিও বনমালী হালদার সহ অন্যান্যরা। এদিন বিডিও এর কাজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version