করোনা অতিমারি (Corona Pandemic) গোটা দেশের চিকিৎসাব ব্যবসাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে একের পর এক চিকিৎসক ও নার্স সংক্রমিত হয়েছেন। এই অবস্থায় পূর্ব ভারতে প্রথম যান্ত্রিক নার্স চালু হল বাংলায়। কোভিড সহ অন্যান্য সংক্রামক রোগীর কাছে না গিয়েও তাদের এখন সহজেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। উত্তর ২৪ পরগণার জেলার মধ্যমগ্রামের হার্টল্যান্ড হাসপাতালে এই অত্যাধুনিক পরিষেবা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই চিকিৎসা পরিষেবার উদ্বোধন করেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। কোভিড কালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সংক্রামক রোগীর ধারে কাছে না গিয়েও তাকে ইঞ্জেকশন সহ সমস্ত পরিষেবা দেবে পাঁচ ফুট উচ্চতার এই রোবট নার্স।

Primary Health Centre : স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘জঙ্গল’, চিকিৎসকের অভাব! ক্ষুব্ধ হুগলির পিয়ারাপুর গ্রামের বাসিন্দারা
করোনা অতিমারির সময় একের পর এক নার্স ও চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছিল। এই কারণে চিকিৎসা পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছিল। এই রোবর্ট নার্স চালু হওয়ার ফলে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে মনে করছে চিকিৎসক মহল। শুধুমাত্র ইঞ্জেকশনই নয় এই রোবট নার্স ব্লাড সহ অন্যান্য স্যাম্পেল কালেক্ট করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেবে নিজেই। ওই বেসরকারি হাসাপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে গোটা হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে।

Paschim Medinipur News : ভুল ওষুধ খেয়ে অসুস্থ খুদে! ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে উত্তেজনা
এই রোবো নার্স যান্ত্রিক কণ্ঠে সকলে হাসাপাতালে স্বাগতও জানিয়েছে। স্মার্ট ফোন দিয়ে সহজেই এই নার্সকে চালানো সম্ভব বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খুব কম সময়ের মধ্যেই গোটা হাসপাতালে এই পরিষেবা শুরু করে হবে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ারা এই রোবট নার্সটি তৈরি করেছে। ড. অঙ্কুশ ঘোষের নেতৃত্বে প্রায় দেড় বছরের চেষ্টায় এই যান্ত্রিক নার্সটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই নার্সটি তৈরি করতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সেখানে উপস্থিত খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘এই রোবট নার্স চালু হলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা উন্নতি হবে। আপাতত কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বরাবরই বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে উৎসাহ দেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version