এদিন দিদির দূত হয়ে নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের পাইকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। গ্রামে ঘুরতে ঘুরতে তিনি পৌঁছে যান নলহাটি আশ্রমপাড়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে। সেখানে মিড ডে মিল নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার সময়েই স্থানীয় এক মহিলা পানীয় জলের দাবি করেন। স্কুল থেকে বেরিয়ে জনসংযোগে সময় সাংসদ তথা অভিনেত্রীর সামনে চলে আসেন এক বধূ। আচমকা কাঁদতে শুরু করেন তিনি। পাইকপাড়া গ্রামের কামারপাড়ার বাসিন্দা দীপ্তি মণ্ডল সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। তাঁর স্বামী শ্রীকান্ত মণ্ডল বছর দুয়েক আগে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর পর থেকে এক ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। এমনকী, শ্বশুরবাড়ির জমির ফসল ঠিকমতো না মেলায় চরম অভাবে দিন কাটছে তাঁর সেকথাও জানান।
সাংসদ শতাব্দীকে দীপ্তি বলেন, “বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছি। স্বামী একটি হোটেলে কাজ করে। ওর স্বভাব ভালো নয়। তাই নিয়ে অশান্তি হতো। তবুও বেঁচে থাকার জন্য স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।” গ্রামে জনসংযোগে গিয়ে এমন সমস্যার সন্মুখীন হয়ে সাংসদ অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে যাননি। তিনি বলেন, “নিজেই বলছেন স্বভাব ভালো নয়। তাহলে ওই স্বামীর সঙ্গে ঘর করবেন কিভাবে?” এরপরেও ওই বধূ কাতর আবেদন করেন, “সব বুঝছি, তবুও স্বামী ছাড়া থাকতে পারছি না। অভাবের সংসারে ওর সাহায্য প্রয়োজন। আপনি স্বামীকে ফিরে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।” একথা শোনার পরে শতাব্দী স্থানীয় থানার ওসির নম্বর চান। পাশাপাশি তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি পিন্টু সিংহকে দায়িত্ব দেন। অনুরোধ করেন, ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে থানার বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলে স্বামীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে। মহিলাকে আশ্বস্ত করে সাংসদ বলেন, “যেখানেই থাকুন স্বামীকে খুঁজে বের করা হবে।”
পরে শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) বলেন, “ওই বধূ স্বামীকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। তা না হলে স্বভাব খারাপ স্বামীকে নিয়ে কী ভাবে সংসার করবেন? এসব জানা সত্বেও তিনি স্বামীকে পেতে চাইছেন বলে সব রকম উদ্যোগ নিয়েছি। আমি পিন্টু সিংহকে বলেছি ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ট্র্যাক করে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন।”