West Bengal News: বৃহস্পতিবার মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপির তারকা মুখ মিঠুন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। কলকাতার মেয়রকে তীব্র কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি জানিয়েছেন, ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সঙ্গে দিদির যোগাযোগ তো ভাইপোই কেটে দিয়েছে, তাই উনি কী বললেন তাতে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার নেই। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দিদির যোগাযোগ ভাইপো কেটে দিচ্ছে। ওনার সঙ্গে আর কী যোগাযোগ রাখবেন। ববি হাকিমের কথার কোনও গুরুত্ব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’ আবাস যোজনা নিয়ে একাধিকবার রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের করা মন্তব্যেরও এদিন জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে অফিসাররা রয়েছেন। কখনও কোনও অফিসার বিজেপির কেউ হয় না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যিনি মুখ্যসচিব রয়েছেন তাহলে তিনি কি তৃণমূল দলের? চুরি করেছে, সেই কারণেই ধরা পড়ছে। যে তিনতলা বাড়ির মালিক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। ফাজলামো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কি এই কারণে টাকা পাঠাচ্ছেন?’
Mithun Chakraborty: ‘…পঞ্চায়েতে জিতেই দেখাব’, মঞ্চ থেকে হুংকার মিঠুন চক্রবর্তীর একাধিকবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দাবি করতে শোনা গিয়েছে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি নেতা বলেন, ‘শুধু শুভেন্দু অধিকারী কেন, আপনি অভিযোগ করলে তাঁর ভিত্তিতেও কেন্দ্রীয় দল আসতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নাম রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর জবাবে সুকান্ত বলেন, ‘এটা পঞ্চায়েতের ভুল। স্থানীয় বিডিওর ভুল। যে কেউ আবেদন করতেই পারে, তবে স্থানীয় প্রশাসনকে যাচাই করে দেখতে হবে। চাকরির পরীক্ষায় তো অনেকেই আবেদন করেন, কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন চাকরি পান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হোক আর যেই হোক নাম কেটে বাদ দিতে হবে। আমার নামও যদি কেউ দেয় তাহলে বাদ দিতে হবে’
Mamata Banerjee : প্রাপ্তিযোগ? ফেরত দিন, ক্ষমা চান: দিদি ‘দিদির দূত’-রা দলীয় নির্দেশ না মেনে দলের পতাকা নিয়ে প্রচারে যাচ্ছেন। এই নিয়ে সুকান্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দলে দিদির এখন কোনও কন্ট্রোল নেই। দিদির নাম শুধু রাখা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ভাইপোর ভূত, তারাই যাচ্ছে। শুধু দিদির নাম ব্যবহার করা হচ্ছ কিন্তু, কেউ কথা শুনছে না। আগামীদিনেও শুনবে না। অভিষেত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতেই এই কাজ হচ্ছে।’