স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ঈদেল শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি। শুক্রবার চেন্নাই থেকে রামপুরহাটের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। শ্যালক নেকবর শেখ ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনিই বিষটি পরিবার কে জানায়। পরিবারের তরফে রামপুরহাট রেল পুলিশকে এই ঘটনার কথা জানানো হয়। রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার পরই রেল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় ওই যুবকের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে রেল পুলিশ অসমের দুই যুবককে আটক করেছে শনিবার সকালে। এখনও পর্যন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া ওই যুবকের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঈদেল শেখের শ্যালক মেঘবর শেখ বলেন, ‘অভিযুক্তরা ট্রেনে ভাত খাচ্ছিল। ধাক্কা লেগে সামান্য খাবার পড়ে যায়। আমার জামাইবাবুকে গালাগালি করে। জামাইবাবু প্রতিবাদ করতে তাঁকে মারধর করা হয়। আমি পিছনে ছিলাম। কিছুক্ষণ পরই আমি আমার জামাইবাবুকে দেখতে পাইনি। ওড়িশার কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা চেন্নাইযে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলাম। এরা সকলেই মদ খেয়েছিল।’
নিখোঁজ ব্যক্তি ঈদেল শেখের শ্যালিকা হেনসি খাতুন বলেন, ‘ট্রেন থেকে আমার ভাই আমাকে ফোন করে গোটা ঘটনার কথা জানায়। আমার স্বামীকে ফেলে দিয়েছে না নামিয়ে দিয়েছে বলতে পারছিল না। আমার বোনের পরামর্শে জিআরপি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আজ সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ খবর পাই। বলেছিল ঈদেলকে খুব মার মেরেছে। মুখ ফাটিয়ে দেওযা হয়েছে। আমাদের আত্মীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাবার পড়ে যাওয়া নিয়ে বচসার কারণেই এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কোনখানে ফেলেছে সেটাও আমার জানি না। আমরা চাই পুলিশ আমাদের আত্মীয় খুঁজে বের করুক। সে বেঁচে আছে কি না, সেটাও জানি না।’