জানা গিয়েছে, বস্তায় ছিল একাধিক বোমা। সেই বোমার সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্রও। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা বোমা গুলি ওখানে রেখে যায় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে শনিবারের ঘটনা এই বোমা ব্যবহার করার জন্য কি রাখা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে বস্তার মধ্যে আছে কতগুলো বোমা তা এখনও জানা যায়নি। আরাবুল ইসলামের বাড়ির কাছাকাছি থেকে উদ্ধার এই বস্তাবন্দি বোমা। উত্তপ্ত ভাঙড়ে বোমা মজুত কী কারণে তাই নিয়েই উদ্বেগ। মনে করা হচ্ছে নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশেই এই বোমা রাখা হয়েছিল। বোমাগুলি নিস্ক্রিয় করতে উদ্যোগী কাশীপুর থানা। এলাকায় এখনও অব্যাহত ধরপাকড়। সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার মোট ৪৩ জন।
সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা এলাকায়। রবিবারও প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে আইএসএফ (ISF)। ভাইজানের দল এখনও আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) গ্রেফতারির দাবিতে অনড়। শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদেও এদিন ভাঙড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির (Bhangar MLA Nawsad Siddiqui) আইএসএফ।
শনিবার পুলিশের সামনেই রীতিমতো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল-আইএস। শুক্রবার রাতে পতাকা লাগানো নিয়ে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ঝামেলার জল গড়ায় ধর্মতলা পর্যন্ত। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচির বদলে অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদ মিছিল আইএসএফ-এর। যার জেরে পরে রণক্ষেত্রে বদলে যায় ধর্মতলা (ISF Protest At Esplanade)। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে সংঘর্ষের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসে আইএসএফ। পুলিশের বিপুল বাহিনী তাদের তুলতে লাঠিচার্জ করে । পালটা আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের পিকেটে ভাঙচুর। আহত হন বউবাজার থানার হনবেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।