সুস্বাদু মশলার মোড়কে আগুনে আঁচে স্নান সেরে প্লেটে আসা মাংসের টুকরো জিভে ছোঁয়ালেই মিলিয়ে যায় তুলোর মতো। শীতের হালকা আমেজে সন্ধের স্ন্যাকসে এমন কাবাব পাতে পড়লে পেটুক মনের আর কী চাই। রসে বসে থাকা বাঙালির এমন স্বাদের দুর্বলতা থেকেই কাবাবের কাউন্টারের কথা মাথায় আসে কর্ণধারের। কিন্তু, এ কাবাব কাউন্টার শহরের আর পাঁচটা কাবাবের দোকান নয়, পরিবেশনেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন কর্ণধার সৌম্য। আস্ত একটা বুলেট বাইককে বদলে দিয়েছেন কাবাব কাউন্টারে। বাইকটি কোনও অকেজো বুলেট নয়। রীতিমতো সচল এক বাইকেই তৈরি এই কাউন্টার। বাইকটি চালিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা সরানো সম্ভব। এমন প্যাকেজিংয়ের চমকে মাসখানেকের মধ্যেই কেড়ে নিয়েছে জেন ওয়াইয়ের মন।
‘বব বার-বি-কিউ এবং গ্রিল ‘-এর কর্ণধার সৌম্যদীপ দে জানালেন, এমন কনসেপ্ট কলকাতায় প্রথম হলেও দক্ষিণ ভারতে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুতে স্ট্রিট ফুডের এমন বাইক কাউন্টারের প্রচলন বহু আগে থেকেই আছে। এমনকী ‘বব বার-বি-কিউ’-এর এই সেট আপও হায়দরাবাদ থেকেই আনানো বলে জানালেন সৌম্য।
এতো গেল সাজসজ্জার গল্প। এবার আসা যায় আসল জিনিসের কথায় কাবাব। কলকাতার একাধিক কাবারের দোকানের মাঝে সস্তায় ১২ রকমের অভিনব স্বাদের সুস্বাদু কাবাব পরিবেশন করেই খাদ্য প্রেমীদের মন জিতে নিয়েছে এই বাইক কাবাব। কলকাতার একমাত্র বীরা কাবাব এই স্টলেই পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন সৌম্যদীপ। ‘বব বার-বি-কিউ অ্যান্ড গ্রিল’-এর মেনুতে চিরাচরিত চিকেন মালাই, টিক্কা কাবাবের পাশাপাশি রয়েছে ভিন্ন ধারার চিকেন কাসুন্দি কাবাব, বীরা কাবাব, তন্দুর ঝিঙ্গা, হরিয়ালি ঝিঙ্গা, টিক্কা ভেটকি কাবাব, মটন বোটি কাবাব আরও কত কী। বাজারের আর পাঁচটা দোকানের থেকে এখানে প্লেট অনুযায়ী কাবাবের দামও অনেক কম। পাঁচ পিস মালাই কাবাব মাত্র ১০০ টাকায়, চিকেন তন্দুরি ২ পিস ১৯০ টাকা, ৩০০ টাকায় মিলবে ৬ পিস ভেটকি কাবাব।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সুস্বাদু কাবাবের গন্ধে ম-ম করে যতীন দাস পার্কের এই মুক্ত দল ক্লাবের মোড়। শেষ বছর মহালয়ায় নিজের প্রিয় পোষ্য গোল্ডেন রিট্রিভার বব-এর স্মৃতিতে সৌম্য শুরু করেছিলেন এই আউটলেট। বছর ঘোরার আগেই দু’চাকার কাবাবের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে বুলেটের থেকেও দ্রুত গতিতে।