বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে কার্যকরী সভাপতি বলেন, “ইতিমধ্যে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং শুরু হয়ে গিয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে সকাল থেকেই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ISF কর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাবেন। বিকেলে তিনটে থেকে পাঁচটা মধ্যে গোটা বাংলা জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল হবে।”
এছাড়াও নাগরিক সমাজের কিছু বুদ্ধিজীবী ও সমাজকর্মীরা গণতন্ত্র সুরক্ষার দাবিতে ও নওশাদ সিদ্দিকীসহ বাকিদের মুক্তির দাবিতে আগামী ২৫ জানুয়ারি দলীয় পতাকা ছাড়াই কলকাতায় (Kolkata) মিছিল করবেন। যা বেলা ১ টা থেকে শিয়ালদহ থেকে শুরু হবে। এক কথায় গণ-আন্দোলন আছড়ে পড়তে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন শামসুর। ২৬ জানুয়ারি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পথসভা করা হবে। যেখানে থাকবে “সংবিধান আজ বিপন্ন, চুপ করে থাকার সময় নয়, আসুন সংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষিত করি”, এই শপৎ। এছাড়াও, বন্দীদের মুক্তির দাবিতে ২৯ জানুয়ারি রাজ্যের প্রতিটি থানায় মৌন মিছিল করে ডেপুটেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ISF-র তরফে। যদিও অল পার্টি কনভেনশন কবে করা হবে তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ও BJP দুই দলকেই বাদ রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে শামসুর বলেন, “সেদিন আমরা যেভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করেছি সেই আন্দোলনকে কেউ বা কারা প্ররোচনা দিয়েছে।” এই ঘটনা নিয়ে BJP-র রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা যেভাবে নিন্দা করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিরোধী দলনেতা। তাঁর এই ঘটনা নিন্দা করা বা বিরোধিতা করা তো একদমই ঠিক হয়েছে। পরবর্তীকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে বা অন্যায়ের প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচিতে যে কেউ আসতে পারেন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বা শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari) এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন, তাই অবশ্যই তাঁরা ধন্যবাদ পাবেন। মানুষও তাঁদের ধন্যবাদ দেবেন।” উল্লেখ, শনিবার ISF-র প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে কলকাতার ধর্মতলা চত্বর রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।