নির্মল পাত্র: সবজি বিক্রেতা বৃ্দ্ধাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে হইচই হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত। হুগলির তারকেশ্বর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। অভিযুক্তের মায়ের বক্তব্য, অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পাক ছেলে।

আরও পড়ুন-চোটে জর্জরিত বাংলা, ঈশান-প্রীতমের আগুনে বোলিংয়ের পরেও টপ অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা   

পুলিসে সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বাবলু পোদ্দার। তারকেশ্বর পুরসভার সাফাই বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। তার মা তারকেশ্বর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেত্রী। অন্যদিনের মতো গত ২২ জানুয়ারি ভোরেও তারকেশ্বর বাজারে সবজি বিক্রির জন্য যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা(৬৬)। সেইসময় তাকে বাবলু পোদ্দার একটি স্কুল মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বাধা দিলে বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। 

চিত্কার শুনে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন এলাকার লোকজন। টানা ২ দিন ওই ঘটনা চাপা থাকলেও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তার পরই গতকাল রাতে তারককেশ্বর থানায় এনিয়ে অভিযোগ করেন বৃদ্ধার মেয়ে। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক বাবলু পোদ্দার। ছেলের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ নিয়ে বাবলুর মা শ্যামা পোদ্দার বলেন, দিন তিনেক আগে বেশ কয়েকজন বাড়িতে আসে। তাদের মুখেই ঘটনার কথা শুনি। ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তার দাবি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ছেলে যদি অপরাধ করে তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু ঘটনার প্রমাণ কোথায়?

ওই ঘটনা নিয়ে তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে তারকেশ্বরের বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিং রায় বলেন, দল অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না। অভিযুক্ত যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে। পুলিসকে বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ময়দানে নেমেছে বিজেপি। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সদস্য গণেশ চক্রবর্তী বলেন, তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডু ঘনিষ্ট ওই যুবক। সেই কারণেই অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জ্বার যে পশ্চিমবঙ্গে ৬৬ বছরের বৃদ্ধাও সুরক্ষিত নন।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version