খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিম সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রাতভর অভিযান চালানো হবে বলে জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি বেসরকারি সংস্থা গ্রামের মহিলাদের কাজ দেওয়ার নাম করে প্রায় ৪ হাজার জনের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা নেয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল সপ্তাহে একটি করে শাড়িতে জড়ির কাজ করে দিতে পারলেই ২০০ – ৪০০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হবে। ঘরে বসে এই উপার্জনের সুযোগ পেয়ে গ্রামের অনেক মহিলাই নাম নথিভুক্ত করছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় হাজার খানেক। মহিলাদের অভিযোগ, প্রথম কয়েক সপ্তাহে সঠিকভাবে টাকা দিলেও সোমবার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় ওই সংস্থার লোকজন।
বুধবার দুপুরে কয়েক হাজার মহিলা ডাঙ্গারহাটে অবস্থিত মর্তুজ সরকারের বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হন। এবং তারা তাদের টাকা ফেরতের দাবি জানাতে থাকেন। জানা গেছে, এই মর্তুজ সরকারের বাড়িতে ওই সংস্থার কর্মীরা ভাড়া নিয়েছিল। যার ফলে সংস্থার লোকেদের না পেয়ে আজ তার বাড়িতেই ভাংচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। প্রতারিত এক মহিলা বলেন, ‘আমরা টাকা নেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আমরা শাড়ির কাজ করেছি, আমাদের টাকা দেওয়া হয়নি। আমার থেকে দেড় হাজার টাকা ও আধার কার্ড নেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের টাকা চাই যে কোনও মূল্যে।’
এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, ‘কুমারগঞ্জের একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বিক্ষোভ সামাল দিতে গেলে পরে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ লাঠি চার্জ করে। বিক্ষোভকারীদের আঘাতে ৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’