সরস্বতী পুজোর মরশুমে আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছে তাদের ব্যবসা। একবাগানে এক সঙ্গে ৩-৪ রকমের কুল চাষে তাক লাগিয়েছেন এরা। ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী থেকে আপেল কুল,নারকেলি কুল। গাছে গাছে ভরে আছে নানা প্রজাতির কুলে। তবে ভারত সুন্দরী ও বল সুন্দরী কুলের চাহিদা বেশি তাই এই দুই প্রজাতি কুল বাগানে বেশি। গত বছরের থেকে এবছর ৫ গুণ বেশি কুলের ফলন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সরস্বতী পুজোর মরশুমে তাই এ বাগান পেয়েছে প্রচুর বরাত। সঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে আয়ও।
এবছর ৯ বিঘা জমির উপর কুলের পাশাপাশি এবছর পরীক্ষামূলক ভাবে কমলা লেবু চাষ করা হয়েছে। বাগানে সারি সারি কুল গাছের মাঝেই রয়েছে কমলা লেবু গাছ। প্রথম বছরেই এমন সাফল্যের মুখ দেখবেন ভাবেননি তাঁরা। চাষের কোনও অভিজ্ঞতা কস্মিনকালে পরিবারের কারও ছিল না। তিন উদ্যোগপতির একজন বিজয় দাস। তিনি জানান, ২০২০ সালে করোনার প্রকোপে লকডাউনের সময় ইউটিউবে বাংলাদেশের চাষবাসে ভিডিয়ো দেখতে দেখতেই এমন পরিকল্পনা নিয়ে ফেলে তিন বন্ধু। এর আগে কোনরকম চাষের অভিজ্ঞতা ছিল না। বাড়িতে অল্পকিছু গাছ সবাই লাগায়। তবে এমন বৃহৎ আকারে কোনওদিন ভাবেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন চাষিভাইদের ভিডিয়ো দেখে, তাদের সঙ্গে অনলাইনে আলাপ আলোচনা করে শেষ অবধি পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেন ।
কুল, কমলা লেবু এবং মালটা লেবুরও চাষ হচ্ছে এখন, যাবতীয় গাছ সংগ্রহ এবং চাষের পদ্ধতি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকেই শিখেছেন তারা। এখনও অনলাইনেই বেশ কয়েকজন চাষিদের থেকে পরামর্শ নেন। কমলা সহ আরও কিছু চাষের ভাবনা রয়েছে। তিন বন্ধু অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই চাষ করে বিপুল টাকা আয় করেছে ২ বছরেই। আজ এখানকার চাষ করা কুল পাইকারি দরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয় । এছাড়া অর্ডার মতো ২০ কিলো করে প্যাকেট হয়ে রাজ্য সহ ভিন রাজ্যে পৌছে যাচ্ছে। আগামীতে একই ভাবে কমলা লেবু এবং বারি ওয়ান মালটাও ফলনে জোর দেওয়ার কথা ভাবছেন বিজয় বাবু ও তাঁর দুই বন্ধুরা।