West Bengal Local News: ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) নিয়ে জট অব্যাহত। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। সম্প্রতি ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃত সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য সরকার। ৩১ জানুয়ারি বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে থেকে সরানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেও ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা গত ২০ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভা নিয়ে দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের পদ খারিজ নিয়ে SDO-র নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের পাশাপাশি সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল।

Calcutta High Court: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য অখিল গিরির, মামলা থেকে বাদ মুখ্যমন্ত্রীর নাম
বেশ কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে পুরুলিয়ার ১২টি ওয়ার্ডের এই ছোট পুরসভা। ২০২২ সালের পুর নির্বাচনের সময় থেকেই রাজ্য রাজনীতির জ্বলন্ত ইস্যুতে পরিণত হয়েছিল ঝালদা। বোর্ড তৈরির আগে নৃশংসভাবে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। নির্দলদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সুরেশ আগরওয়ালকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তপন কান্দুর মৃত্যুর পর ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তাঁর ভাইপো তথা কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু জয়ী হন।

Firhad Hakim : ‘উনি বাঙালি বিরোধী…’, রাজ্যপালের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ ফিরহাদের
তৃণমূলের হাতে পুরসভার দায়িত্ব যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই নির্দলরা বোর্ড থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। ঝালদা পুরসভায় অচলাবস্থা তৈরি হতেই তৃণমূল কাউন্সিলরকে প্রশাসক পদে নিয়োগ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিল কংগ্রেস। আদালত প্রশাসক বসানোর নির্দেশ খারিজ করে পুরসভায় আস্থাভোট করে চেয়ারম্যান নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কংগ্রেস কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় পূর্ণিমা কান্দুকে। পুর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার তিনদিন পরই শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন ঝালদার মহকুমা শাসক। তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ণিকা কান্দুকে নিয়োগ করে। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাজ্যের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ঝালদা পুরসভায় জটিলতা অব্যাহত রইল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version