Dakhin Dinajpur News: একেই বলে বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা। খোদ পুলিশের বড় কর্তার সিল জাল করে জালিয়াতির অভিযোগ বালুরঘাটে। উচ্চ-পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার, সরকারি আধিকারিকের সিল জাল করে অন্য পুলিশের লোনের আবেদনের অভিযোগে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশ সুপারের সিল জাল করে লোনের জন্য আবেদন করা হয়। শুধুমাত্র পুলিশ সুপারের সিল নয় ডিএসপি পদ মর্যাদার এক অফিসারের সইও জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

এই চরম জালিয়াতির অভিযোগে সিল ও সই জাল করার অভিযোগ তিনজনকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম পার্থ বর্মন, দীপঙ্কর শীল ও বাচ্চু বর্মন। দীপঙ্করের বাড়ি বালুরঘাটের বঙ্গীতে। বাকি দুজনের বাড়ি বালুরঘাটের চকহোসেনে। রবিবার ভোররাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে দু’জন লোন দেওয়ার এজেন্ট। বাকি একজন সিল বানানোর কাজ করত। ধৃতদের রবিবার বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেয়। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ৷

অভিযোগ, এসপির সিল জাল ও ডিএসপির সই জাল করে নীচু তলার এক মহিলা পুলিশ কর্মীকে ওই লোন পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। নকল সিল ও সই দেখে সন্দেহ হওয়ায় যাচাই করার জন্য বালুরঘাট পুলিশ অফিসে আসে। বিষয়টি তখনই ধরা পড়ে। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ধৃতরা আরও বহু জালিয়াতি কাজের সাথে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। খোদ পুলিশকর্তাদের সই ও সিল জালিয়াতির ঘটনায় শোরগোল গোটা জেলায়।

বালুরঘাট শহরে সিল ও সই জালিয়াতির চক্রের খবর এর আগেও সামনে এসেছিল। এদিকে এই চক্র নানাভাবে জালিয়াতি করে লোন পাইয়ে দেওয়ার কাজ করত বলে দাবি। অনেককে সিল ও সই জাল করে লোন পাইয়ে দিতে সফলও হয়েছে বলে খবর। পুলিশের অনুমান, শুধুমাত্র পুলিশের সিল ও সই জাল নয়, আরও নানা সরকারি নথি ও সই জাল করেছেন ধৃতরা। এই মামলায় আরও তথ্য পেতে পুলিশ তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি ওই সিল ও সই জাল করার কম্পিউটার থেকেও নানা তথ্য বের করছে পুলিশ। চক্রের জাল কত দূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এদিকে ওই মহিলা পুলিশকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিল জালের বিষয়টি ওই মহিলা পুলিশকর্মীর অজানা ছিল বলে দাবি। যদিও এই দাবির সত্যতাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

যার সিল জাল করা হয়েছে অর্থাৎ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে এবিষয়ে বলেন, ”ব্যাঙ্কে ঋণ নেওয়ার জন্য আমার সিল ও প্রাক্তন ডিএসপির সই জাল করা হয়েছিল। তিনজনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবেই লোন পাইয়ে দেওয়ার কাজ করত এই চক্র। এদিন তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই চক্রের সঙ্গে আর কে কিভাবে জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version