West Bengal News : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার (Farakka) কেন্দুয়া এলাকায় চরম উত্তেজনা। চলল বোমা, গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃত ওই ব্যক্তির নাম নাজির হোসেন(৩৬)। তার বাড়ি কেন্দুয়া এলাকায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কারণেই এই অশান্তি বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের কারণে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার কেন্দুয়া এলাকা। চলল বোমা গুলি। মৃত্যু হল একজনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দুই দলের সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ফরাক্কার কেন্দুয়া এলাকায়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ফরাক্কার এসডিপিও রাসপ্রীত সিং। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় চলছে টহলদারি। তবে গণ্ডগোলের উৎস নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।

West Bengal Latest News: পরকীয়ার কাঁটা! খুন করে তড়িঘড়ি কবরের অভিযোগ, কোর্টের নির্দেশে বেরোল দেহ
মৃতের এক আত্মীয় জানান, গণ্ডগোল করার ব্যাপারে মানা করা হয়েছিল। দুই পক্ষের কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ তাঁর। ওই ব্যক্তি জানান, “বেশ কয়েকটি বোমার শব্দ শুনতে পাই আমরা। ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখি ও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। গায়ে গুলির আঘাত লেগেছে বলে মনে হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।” গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় পুলিশ টহলদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Recruitment Scam : নথি জাল করে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ! মুর্শিদাবাদের স্কুলে হানা CID-র
তবে এত পরিমাণ বোমা বর্ষণের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে সংঘর্ষের খবর। কোনও জায়গায় শাসকদল ও বিরোধী শিবিরের সংঘর্ষ, তো কোথাও আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ইতিমধ্যেই বোমা ফেটে রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ করতেই আগে থেকে অস্ত্র মজুত করে রাখছে রাজ্যের শাসকদল। আবার শাসক শিবিরের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যকে অশান্ত করতেই বেআইনি অস্ত্র মজুদ করছেন বিরোধীরা। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক আছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version