West Bengal News : অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ (U19 Women T20 World Cup) জিতেছেন ভারতের মেয়েরা। ফাইনাল খেলায় ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করেছে ভারত। চার ওভার বল করে মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন চুঁচুড়ার (Chinsurah) মেয়ে তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। মঙ্গলবার তিতাসের বাড়িতে গিয়ে তারা বাবা মায়ের হাতে ফুলের স্তবক তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাল হুগলি (Hooghly) জেলা তৃনমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।

U19 Women’s T20 World Cup : তিতাসই ভরসা, বঙ্গতনয়ার হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চাইছে পরিবার
আজ চুঁচুড়ায় (Chinsurah) ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট (U19 Women T20 World Cup) দলের খেলোয়াড় তিতাস সাধুর বাড়িতে যান ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র (Ashima Patra), চাঁপদানীর বিধায়ক ও তৃনমূল জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, হুগলি (Hooghly) জেলা মহিলা তৃনমূল নেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, জেলা যুব তৃণমূল সভানেত্রী রুনা খাতুন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী, চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়রা।

India Wins World Cup : ঘরের মেয়ে তিতাস জিতিয়েছে বিশ্বকাপ! খুশির জোয়ারে ভাসছে চুঁচুড়া
তিতাসের বাবা রনদীপ, মা ভ্রমরের সঙ্গে মেয়ের সাফল্যে গর্বিত হুগলি জেলা। বাংলার গর্ব তিতাস, ঋষিতা, রিচাদের জন্য বিশেষ পুরষ্কার ঘোষনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিতাস চুঁচুড়ার বাড়ি ফিরলে তাকে জমকালো সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। এদিন অসীমা পাত্র বলেন, “তিতাস শুধু হুগলি জেলা নয়, রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। তার এই সাফল্যের পিছনে তার বাবা মায়ের অবদান আছে। তিতাস এখনও বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাই তাঁর বাবা মাকে আমরা শুভেচ্ছা জানালাম। পরে তিতাস ফিরলে আবার তাকেও সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।” তিতাসের মা ভ্রমর সাধু বলেন, “আমি খুশি তিতাসের সাফল্যে। তবে সবে খেলা শুরু করেছে। এখনও অনেক পথ বাকি। মাটিতে পা রেখে যেন তিতাস নিজের খেলা চালিয়ে যেতে পারে।”

Mamata Banerjee : বাঙালির দাপটে বিশ্বকাপ জয়, ৫ লাখ পুরস্কার মমতার
তিতাসের বাবা রনদীপ বলেন, “যারা চুঁচুড়ার মাঠের বা অ্যাসোসিয়েশনের লোক তাঁরা জানেন তিতাস কঠিন পরিশ্রম করেছে। সেই পরিশ্রমের ফল তিতাস পেয়েছে। আগামী দিন আরও কঠিন, তাই পরিশ্রম করে যেতে হবে। খেলোয়ারদের জীবন এরকম হয়, একদিন ছয় মারে একদিন শূন্য রানে আউট হয়। তাই ভালো সময় যেমন সবাই পাশে থাকবেন, তেমনি খারাপ সময়তেও সবাই পাশে থাকুন এটাই চাইব।” ফাইনালের সেরা তিতাসই। চার ওভার বল করে, মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন তিতাস। শুরুতে অ্যাথলেটিক্স শিখলেও পরে ক্রিকেটকেই বেছে নেন তিনি। তাঁর বাড়ির সকলেই মোবাইলের পর্দায় ফাইনালের দিকে চোখ রেখেছিলেন। ভারত জেতার পর আনন্দে ফেটে পড়েন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version