West Bengal Local News: দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলা সফরে এসেছেন কিন্তু তিনি তাঁর পাশে নেই, এমন হয়তো কয়েকমাস আগেও কল্পনা করা যেত না। কারণ তাঁর নাম অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক না হয়েও জেলায় শেষ কথা তিনিই। ২০২৩ সালের মমতার এই সফরে আসানসোলের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। গোরুপাচার মামলায় ২০২২ সালের অগস্ট মাসে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরবর্তীকালে বেহিসেবি আয় সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডিও। অনুব্রত প্রভাবশালী বলে আদালতে তাঁর জামিনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই মুখ্যমন্ত্রী সফরের শুরু থেকেই সাবধানী ছিল তৃণমূল। তৃণমূলের তরফ থেকে বোলপুর শহরজুড়ে তৈরি করা হয়েছিল প্রায় পাঁচটি তোরণ। কিন্তু কোনও একটি তরণেও দেখা যায়নি অনুব্রত মন্ডলের ছবি। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব আড়ালে-আবডালে স্বীকার করে নিয়েছিল ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ এড়াতেই তৃণমূল নেতার ছবি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

Anubrata Mondal: বীরভূমে মমতার স্বাগত তোরণে নেই অনুব্রত, কারণ নিয়ে মুখ খুললেন শতাব্দী
কিন্তু বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উলট-পুরাণ। বুধবার বোলপুরের ডাক বাংলো মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোরণে অনুব্রতর ছবি না থাকলেও বুধবার সেখানে ধরা পড় এক অন্য ছ ছবি। সভার উদ্দেশে যাওয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারী তৃণমূলকর্মী সমর্থকদের একাংশের হাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কেষ্টর ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড নিয়েই সভাতে প্রবেশ করেছেন ওই কর্মী সমর্থকরা। এই ছবি চোখে পড়তে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও খানিক অবাক হয়ে গিয়েছে। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেছিলেন, অনুব্রতর ছবি না থাকলে জেলার তৃণমূল কর্মীদের হৃদয়ে তিনি রয়েছেন। এদিন সেই চিত্রই ধরা পড়েছে।

Mamata Banerjee : ‘যতদিন অ্যাবসেন্ট থাকবে, আমি নিজে দেখব…’, কেষ্টহীন বীরভূম নিয়ে ঘোষণা মমতার
গ্রেফতারির পর থেকে অনুব্রতর পাশে রয়েছেন মমতা। নেতাজি ইন্ডোরে দলের সভা থেকে সুর চড়িয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘কেষ্টকে বীরের সম্মানে ফিরিয়ে আনতে হবে।’ এদিন সভা থেকে নাম করে অনুব্রত প্রসঙ্গ তোলেন মমতা নিজেই। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট তিনি এখনও কেষ্টর পাশেই রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার দু-একজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে। ভোটের সময় এমনিই তাঁকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দিত না। যতদিন তাঁরা ফিরে না আসছেন, ততদিন জেলা সংগঠন আমিই দেখব। এই কাজে ফিরহাদ হাকিম আমাকে সাহায্য করবে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version