রেলের ফ্রেড করিডরের জন্য ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railway)। এরই অঙ্গ হিসেবে রেলের উচ্ছেদ নোটিস পড়েছে এই এলাকায়। অবিলম্বে পুনর্বাসনের দাবিতে এখন সরব গোটা এলাকার মানুষজন। তাঁরা জমি ছাড়তে রাজি। কিন্তু রেলকে পুনর্বাসন দিতে হবে আগে, নচেৎ রেল উচ্ছেদ করতে এলে আত্মহত্যা করা ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা আর খোলা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঘুসিকডাঙা এলাকার মানুষজন। এদিকে স্থানীয় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পুরসভার (Durgapur Municipal Corporation) চার নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুনীল চট্টোপাধ্যায় জানান, “আগে পুনর্বাসন দিক রেল। কারণ এলাকায় যখন রাস্তা হচ্ছিল, জল দেওয়া হচ্ছিল, তখন মুখ বন্ধ করে কেন বসেছিল রেল?” এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা হলে ভয়ঙ্কর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান সুনীল চট্টোপাধ্যায়। যদিও এই ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। BJP নেতৃত্বের পালটা অভিযোগ, পুনর্বাসন তাঁরাও চান। কিন্তু জমি তো রাজ্যকে দিতে হবে, রাজ্যের শাসক দল এই বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বেশ কয়েক দিন আগে দুর্গাপুরের (Durgapur) মায়া বাজারের কাছে বিজয়নগর এলাকায় রেল উচ্ছেদের নোটিস দিয়ে উচ্ছেদ করতে এলে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে রেল।
সেবার দুর্গাপুর পশ্চিমের BJP বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, আগে পুনর্বাসন দিতে হবে। সেই মর্মে তিনি রেলকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েও দেন। এরই মধ্যে দুর্গাপুরের অন্য এলাকায় রেলের উচ্ছেদ পর্বের নোটিস ঘিরে যেভাবে শহরের একাংশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তাতে রেলের ভূমিকা এখন কি হয় বা কোন পথে এগোয় রেল, সেটাই দেখার বিষয় বলে জানাচ্ছেন শহরের নাগরিকবৃন্দ।