এদিনের সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রের প্রকল্পের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন,”একটা আবাসন পেতে গেলেও কেন্দ্রীয় সরকার বলছে যার বাড়িতে স্কুটি আছে, তাঁকে কেন্দ্রীয় আবাস প্রকল্পে বাড়ি নয়। যার বাড়িতে কেউ একজন চাকরি করেন সে বাংলার বাড়ি পাবে না। যার বাড়িতে দুটো ইট পড়েছে সেও বাংলার বাড়ি পাবে না। তাহবে পাবেটা কে তোমরা? তুমি ঠিক করে দেবে কে কী খাবে, কে কী পরবে!”
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম তুলতে হলে রয়েছে ১৫ দফা শর্ত। সেই শর্ত অনুযায়ী সমস্ত কিছু মিললেই তবেই একজন উপভোক্তা আবাস যোজনায় নাম তুলতে পারে।
আবাস যোজনার শর্ত-
সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট টাকার উপরে বার্ষিক আয়, নিজস্ব বাড়ি থাকলে, কেউ আগে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি বা অন্য কোনও সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধে পেয়ে থাকলে, বাড়িতে কেউ চাকরি করলে, টিভি বা ফ্রিজের মতো সুবিধেজনক লাক্সারি ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকলে উপভোক্তা আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার জন্য মনোনীত হবেন না। সেই শর্তের প্রসঙ্গেই এদিন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের দাবি আবাস যোজনায় নাম তোলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। শর্ত না মেনে এমন মানুষদের নাম তোলা হয়েছে প্রভাব খাটিয়ে যাদের বাড়ি পাওয়ার কথা নয়। এতে ন্যায্য উপভোক্তারা যোজনার বাড়ি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। আবাস যোজনার সমীক্ষায় গত বছরের শেষ এক মাসে কয়েক লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এতেই উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই বিরোধী দলের আবেদনে কেন্দ্র থেকে একাধিক প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে বাংলায়। সেই নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা দিতে বিভিন্ন সময়ে গ্রামাঞ্চলে শর্ত মেনেই গরিব মানুষের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে আবাস প্লাস তথ্যভাণ্ডারে। কেন্দ্র এই প্রকল্পে রাজ্যে ১১,৩৬,৪৮৮টি বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছে।