রবিবার পিংলার মুন্ডুমারি এলাকায় BJP-র একটি জনসভায় যোগদান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের বিধায়ক হীরন চট্টোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই খড়্গপুরের বিধায়ক হীরন তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে হাওয়া উঠেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সেই জল্পনা এদিন মিটিয়ে দেন খড়গপুরের বিধায়ক। এদিনের মঞ্চ থেকেই রাজ্যের শাসকদলকে টার্গেট করে একের পর এক আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, “সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে গোটা রাজ্যে বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে।” শুভেন্দুর দাবি, “যাতে অনুব্রত মণ্ডলের থেকে সরাসরি ভাইপোর কাছে কয়লার টাকা যায়, তার জন্যই বীরভূমের ASP হিসাবে ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয়েছে।”
কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুদিন আগেই পূর্ব বর্ধমানের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায়। টাকা বকেয়া থাকলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। পালটা এদিনের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “মিড ডে মিলের টাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারি সভা করেন। বগটুই নিহত পরিবারকে মিড ডে মিলের টাকায় চেক দেওয়া হয়েছিল।” সরকারি টাকা নয়ছয় করার কারণেই আর্থিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের DA থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথাও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। শুভেন্দুর কথায়, “শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দফতর ছাড়া সব সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের অবস্থান বিক্ষোভ করা উচিত DA-র দাবিতে”
অন্যদিকে, রবিবার আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠক করে ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিতিতে এই ইস্তাহার প্রকাশ হয়। সেখানে বাংলার উন্নয়নের মডেল তুলে ধরলেন বাংলার শাসকদলের নেতারা। লক্ষ্মী ভাণ্ডার দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। এই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল।”