West Bengal News : চুঁচুড়ায় রেজিস্ট্রি অফিসের উলটোদিকে এক দোকান থেকে উদ্ধার এক পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ।‌ মৃত পুলিশ কর্মীর নাম রবি পাত্র(৫৮)। চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। চুঁচুড়ার পুলিশ ব্যারাকে ওই কর্মী দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ঠিক কী কারণে উনি আত্মঘাতী হয়েছেন সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ (Chinsurah Police Station)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবি পাত্র নামে ওই পুলিশ কর্মীর বাড়ি বর্ধমানের (Bardhaman) ভাতারে। চন্দননগর পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করেতেন তিনি। হুগলি জেলা আদালতে দীর্ঘদিন ধরে পোস্টিং ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে ক্লোজ করা হয় পুলিশ লাইনে। জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের পাশেই পুলিশ ব্যারাকে থাকতেন। তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছন, কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ছিলেন পুলিশ কর্মী।

Uttar 24 Pargana News : জঙ্গল থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ! ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা পুলিশের
রবিবার সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রি অফিসের উলটোদিকে একটি দোকান চালার বাঁশে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। চুঁচুড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে (Imambara District Hospital)পাঠায় দেহ ময়না তদন্তে। মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, চুঁচুড়ায় (Chinsurah) দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্যারাক আছে, সেই ব্যারাকে থাকতেন। সন্ধ্যার পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তাঁর মানসিক অবসাদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবুও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে পুলিশ কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

Howrah Incident : ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক সম্পর্ক, মানসিক চাপে আত্মঘাতী গৃহবধূ
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে শিলিগুড়িতে এক পুলিশ কর্মী নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম সুদীপ ছেত্রী (৪৫)। দার্জিলিং জেলা পুলিশের অন্তর্গত সেবক ফাঁড়িতে তিনি ASI পদে প্রায় দেড় বছর ধরে কর্মরত ছিলেন তিনি। নিজের সার্ভিস রিভলভার ব্যবহার করে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কী কারণে ওই ASI আত্মঘাতী হলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি সেবকে একাই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় তাঁর গুলিবিদ্ধ, রক্তাক্ত দেহ। পৈতৃক বাড়ি মালদায়। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান থাকতেন শিলিগুড়িতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version