এই ঘটনার পর ক্ষোভ ও অপমানে রায়গঞ্জের কনজিউমার ফোরামের দ্বারস্থ হন মিন্টু বাবু। কনজিউমার ফোরাম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ শুনানির পর চলতি বছরের ৭ই ফেব্রুয়ারি মামলার চূড়ান্ত রায় দান করা হয়। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দামের অতিরিক্ত চার টাকা প্রদান করা ছাড়াও, কেস ফাইল বাবদ ১০০০ টাকা এবং মানসিক অশান্তি ও ক্ষতিপূরণ বাবদ আরও ৩০০০ টাকা ওই গ্রাহককে দিতে হবে সংস্থাকে। এই ঘটনা সামনে আসার পর গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। রায়গঞ্জের মত শহরে শপিংমলের এ হেন আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ক্রেতাদের একটা বড় অংশ।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর দিনাজপুর কনজিউমার কমিশনের রেজিস্টার নরেশ চন্দ্র রবিদাস বলেন, ‘২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কনজিউমার ফোরামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মিন্টুবাবু। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষকে এ ব্যাপারে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই ক্রেতাদের কেনাকাটায় পরিতৃপ্তি লাভ হবে এবং বিপনীগুলিও তাদের সম্মান অটুট রাখতে পারবেন।’ ক্রেতাদের একটা অংশও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রায়গঞ্জের বাসিন্দা অমিত দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক সময়ই ডিপার্টমেন্টার স্টোরগুলি নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দাম নিয়ে থাকে। মিন্টুবাবুর ঘটনা তাদের কাছে একটা নজির হয়ে থাকল। চার টাকা কোনও বড় কথা নয়, অনৈতিকভাবে দাম বেশি নেওয়া নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। আগামী দিনে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে নির্দ্বিধায় ক্রেতা সুর’