বাজেট অধিবেশনের দিন উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (West Bengal Assembly)। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (West Bengal Governor C V Ananda Bose) বাজেট বক্তৃতা চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন BJP বিধায়করা। কিন্তু, যাবতীয় হট্টগোলের মধ্যেও থামেননি রাজ্যপাল। পরে ওয়াক আউট করে বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। এবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রাক্তন রাজ্যপালরা অতীতে ভাষণের অনেক অংশ পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু, সেই পথে হাঁটেননি আনন্দ। শুভেন্দু বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে দায়ী বা দোষী করব না। কিন্তু, আমাদের মনে হয়েছে রাজ্যপাল তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল মিস্টার রবির দেখানো পথে না হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটেছেন। রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা উল্লেখ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখে দেওয়া বক্তৃতা রাজ্যপাল পড়েছেন। এতে রাজ্যের জনগণ এবং আমরা হতাশ।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তামিলনাডুর রাজ্যপাল সেই রাজ্যের বিধানসভায় কিছু বিষয় পাঠ করে অস্বীকার করেন।
DA West Bengal Latest Update: ‘মার্চে আরও বড় আন্দোলন…’, DA-র দাবিতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের অন্যদিকে, বিধানসভায় BJP বিধায়কদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের তীব্র বিরোধিতা করতে শোনা যায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেন, “ আমরা কখনই জগদীপ ধনখড়কে ‘হায় হায়’ বা ‘গো ব্যাক’ বলিনি। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এটা বলাটা অন্যায়-পাপ, যা BJP করেছে।” উল্লেখ্য, বিধানসভায় রাজ্যপাল ভাষণের শুরুতেই শোকপ্রস্তাব পাঠ করেছিলেন। তাঁর মূল ভাষণ পাঠ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধীরা স্লোগান দিতে শুরু করে। এদিন ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগানও তোলেন BJP বিধায়করা। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন BJP বিধায়ক অসীম সরকার। যদিও BJP বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একটা হাস্যকর বিষয় করেছে ওরা। রাজ্যে BJP রাজভবন নির্ভর রাজনীতি করতে অভ্যস্থ। কিন্তু, বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। তাই ওরা এসব স্লোগান দিচ্ছে।”