জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জামশেদপুরের (Jamshedpur FC) ঘরের মাঠে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ফলে শেষ পর্যন্ত ইস্পাতনগরী থেকে এক পয়েন্ট পেল জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferando) দল। ফলে চলতি আইএসএল-এ (ISL 2022-23) তৃতীয় গোলশূন্য ম্যাচ খেলে আপাতত ১৭ ম্যাচ থেকে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ থেকে চার নম্বরে উঠে এল সবুজ-মেরুন বাহিনী। জামশেদপুর রয়ে গেল ১০ নম্বরেই।
এদিন দুই দলই দিশাহীন ফুটবল খেলে। মাঝমাঠে ও দুই দলের গোল এরিয়ায় অসংখ্য ভুল পাস করেন দু’পক্ষের ফুটবলাররাই। ম্যাচের শেষ দিকে দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে সাতটি করে গোলে শট নিলেও একটিও জালে জড়াতে পারেনি দুই গোলকিপারের জন্য। জামশেদপুরের টি পি রেহনেশ ও এটিকে মোহনবাগানের বিশাল কয়েথ সাতটি করে সেভ করায় দুই দলকেই এদিন এক পয়েন্ট করে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
হুগো বুমৌস (Hugo Boumous) খেলবেন, এমন খবর থাকলেও সম্ভবত নতুন চোট তাঁকে এই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। বুমৌসের অনুপস্থিতির ছাপ এদিন স্পষ্ট ছিল তাঁর দলের পারফরম্যান্সে। চোটের কারণে যদি তিনি পরের দুই ম্যাচেও খেলতে না পারেন, তা হলে যে সবুজ-মেরুন বাহিনীর ভবিষ্যৎ খুব একটা উজ্জ্বল নয়, তার ইঙ্গিত এই ম্যাচেই পাওয়া গেল। আগামী দুই ম্যাচই তাদের চেয়ে ওপরে থাকা দুই দল হায়দরাবাদ এফসি ও কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। জামশেদপুরের বিরুদ্ধেই যখন দলের এমন বেহাল দশা ফুটে উঠল, তখন এই দুই দলের বিরুদ্ধে তারা কতটা কী করতে পারবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: Virat Kohli, BGT 2023: ক্যাচ ফেলতেই কোহলির দক্ষতা নিয়ে ‘বিরাট’ খোঁচা দিলেন মার্ক ওয়া
বৃহস্পতিবারের ম্যাচেও হুগো বুমৌসকে এটিকে মোহনবাগান স্কোয়াডে দেখা যায়নি। সম্ভবত ফের হ্যামস্ট্রিং সমস্যা ভোগাচ্ছে তাঁকে। প্রথম এগারোয় ছিলেন না লিস্টন কোলাসোও। তাঁর জায়গায় নামেন কিয়ান নাসিরি। বুমৌসের জায়গায় গত ম্যাচের মতোই ছিলেন ফেদরিকো গায়েগো। সেই ৪-২-৩-১ ছকেই দল সাজান হুয়ান ফেরান্দো। অন্যদিকে জামশেদপুর দল সাজায় ৪-৪-১-১-এ, ঋত্বিক দাস ও রাফায়েলো ক্রিভেলারোকে সামনে রেখে।
এ দিন ম্যাচের প্রথম আধ ঘণ্টায় এটিকে মোহনবাগানকে একেবারেই চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। জামশেদপুর এফসি-ও অযথা ঝুঁকি নিতে রাজি ছিল না। ফলে ম্যাচ তেমন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি। অন্যান্য ম্যাচে এতদিন শুরু থেকেই যে আক্রমণাত্মক মেজাজে পাওয়া গিয়েছিল, এই ম্যাচে তা একেবারেই ছিল না। আক্রমণের প্রবণতা দু’পক্ষের কারও মধ্যেই দেখা যায়নি। বরং দুই দলেরই মিসপাসের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই আধ ঘণ্টায় সবুজ-মেরুন শিবিরের একটি মাত্র শট গোলমুখী ছিল। কিন্তু জামশেদপুর একটিও গোলমুখী শট নিতে পারেনি।
কোচ ফেরান্দো শহর ছাড়ার আগে বলে গিয়েছিলেন, “এই দলের উপর আমার আস্থা আছে। সবাই জানে এখন ৩ পয়েন্ট আমাদের জন্য কতটা জরুরি।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ‘জরুরি’ ৩ পয়েন্ট এল না। যদিও প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু তারপরই পয়েন্ট টেবিলের নীচের দিকে থাকা বেঙ্গালুরুর কাছে হারতে হয়েছে। এবার দুর্বল প্রতিপক্ষ জামশেদপুরের বিরুদ্ধেও ড্র করতে হল সবুজ-মেরুনকে।