প্রায় দুই মাস পর থেকেই ফুল ফুটতে শুরু করে। ফুল ফোটা শুরু হলে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা ও জল দিতে হয়। তাছাড়া আর অন্য কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি। নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত গাছে ফুল ফোটে। বর্তমানে মালদার বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে পাইকারি মূল্যে ফুল বিক্রি করছেন কৃষকেরা। দেবব্রত সরকার বলেন, “প্রতি সপ্তাহে প্রায় তিন ক্যুইন্ট্যাল ফুল বিক্রি করছি। চার মাস ফুল বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন। এক বিঘা ফুল চাষে খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা।” সে কারণে এলাকার অন্যান্য চাষিদেরও ফুল চাষের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেন। দেবব্রত সরকার জানান, এলাকার অনেক চাষি একাধিক ঝক্কি পেরিয়ে অন্যান্য আনাজ বা ফসল ফলিয়েও ঘরে ভালো মুনাফা তুলতে পারেন না। সে কারণে আমার চাষ দেখে তাঁরাও যথেষ্ট উৎসাহিত।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুলের চাষ করতে হলে প্রথমেই জমি নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত এঁটেল দো-আঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য বেশি উপযোগী। যে জমিতে ফুল চাষ করা হবে, খেয়াল রাখতে হবে তা যেন নিচু না হয়। অর্থাৎ জমিতে যেন জল জমে না থাকে। পাশাপাশি জমিতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। গাঁদা চাষে খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। তিন মৌসুমেই এই ফুল চাষ করা যায়। এর জন্য তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি হওয়া উচিত। এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকলে গাছের ক্ষতি হতে পারে।