Primary School : স্কুলের কার্নিশের চাঙড় ভেঙে পড়ল মাথায়! বর্ধমানে জখম তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী – class three student injured for a plaster falling from school building in bardhaman


West Bengal News : স্কুল বিল্ডিংয়ের কার্ণিশের খসে পরা চাঙরের আঘাতে জখম প্রাথমিকের পড়ুয়া। বর্ধমানের হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের (Burdwan Hindu Balika Vidyalaya) ঘটনা। আহত ছাত্রীর নাম রাম্পা চন্দ্র। গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান হাসপাতালে। চাঙরের আঘাতে জখম পড়ুয়ার মাথায় ৪ টি সেলাই করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

Mid Day Meal : মিড ডে মিলে নিম্নমানের খাবার, পঠন-পাঠন তলানিতে! অভিযোগ তুলে স্কুলে বিক্ষোভ
স্কুল ও জখম পড়ুয়ার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও স্কুলে যায় হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া রাম্পা চন্দ্র। স্কুল ছুটি হওয়ার পর স্কুলের গেটের কাছে বাবার জন্য অপেক্ষা করছিল রাম্পা। সেই সময়ই হঠাৎ তার মাথার উপর খসে পরে কার্নিশের চাঙর। গুরুতরভাবে জখম রাম্পা’কে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান হাসপাতালে (Burdwan Hospital)। জখম পড়ুয়ার মাথায় ৪ টি সেলাই করা হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।

Purba Medinipur : স্কুলের হস্টেলে বাসি খাবার! অসুস্থ বেশ কয়েকজন ছাত্র, চাঞ্চল্য তমলুকে
স্কুল বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ পরিবারের। অবিলম্বে স্কুল বিল্ডিং মেরামত করা না হলে যে কোনও দিন ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা আশঙ্কায় জখম পড়ুয়ার পরিবার। তবে দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামতি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। জখম ছাত্রীর বাবা ভুবনেশ্বর চন্দ্র বলেন, “স্কুলের বিল্ডিং ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। আজকে আমার মেয়ে অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছে। আরও বড় কোনও বিপদ ঘটতে পারত। সে ব্যাপারে স্কুলের নজর দেওয়া উচিত। আপাতত আমার মেয়ে অনেকটা ভাল আছে। তবে চিকিৎসকরা মাথার একটা সিটি স্ক্যান করিয়ে নিতে বলেছেন।”

Alipurduar News: মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, পালটা মেয়েকেই দোষারোপ জন্মদাত্রীর
তবে এরকম ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত অন্যান্য পড়ুয়ার অভিভাবকরাও। স্কুলের গাফিলতিতে কার্নিশের সংস্কার করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, কার্নিশ ভেঙে চাঙরটি প্রথমে পাঁচিলের উপর এসে পড়ে। এরপর সেটি শিশুটির মাথায় লাগে। আমাদের স্কুলের শিক্ষকরাই সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্রীটির চিকিৎসার সমস্ত খরচের ভার স্কুলের তরফ থেকেই নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে কার্নিশের অংশ ভেঙে পড়ায় এই দুর্ঘটনা। আগামী দিনে যায় এরকম আর না ঘটে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। স্কুলের মেরামতির ব্যাপারে যাতে আগামী দিনে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সে বিষয়ে আর্জি জানিয়েছেন স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *