কিন্তু ডাকাডাকির পরেও বাড়িতে থেকে কেউই বের হননি। দরজাও খোলেননি। ততক্ষণে খবর দেওয়া হয় জগাছা থানার পুলিশকে। জগাছা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেয়। ঘরে ঢুকে দেখা যায় তুষার বাবু ঘরে বসে রয়েছেন। মেঝেতে পড়ে রয়েছে তার স্ত্রী তপতি দেবীর(৬৭) পচা গলা দেহ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তুষার চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী তপতী দেবী দুজনেই অসুস্থ ছিলেন। স্থানীয় বাদিন্দারা জানিয়েছে, তুষার চক্রবর্তী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাদের একমাত্র মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে তিনি বিবাহিত। মুম্বইয়ে থাকেন। পুলিশের তরফে তাঁর মেয়েকে খবর দেওয়া হয়।
তুষার চক্রবর্তীর ভাই নীহারকান্তি চক্রবর্তী বলেন, “আমি মাঝে মধ্যে খোঁজ খবর নিতাম। রোজ আসা সম্ভব হত না। কয়েকদিন আগেও এসেছিলাম। তবে কেউ দরজা খোলেননি। তাই চলে যাই। কিন্তু তখনও বুঝিনি এমন কিছু হবে। আমারও বয়স হয়েছে। সবসময় খোঁজ রাখা সম্ভবও হয় না। ওর মেয়েও খোঁজ রাখে না। আজ শুনি এমন ঘটনা ঘটেছে।” তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ এরকম ধরণের ঘটনা তো হামেশাই শোনা যাচ্ছে এখন। তবে আমাদের এলাকাতেই এরকম ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি। আমরা প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম গত দুদিন ধরে। আশেপাশে ঝোপঝাড়ে কোনও প্রাণী মারা গিয়েছে, সেখানটা থেকেই গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে প্রথমে ভাবা হয়েছিল। সে কারণেই আমরা পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের খবর দিই। তারপর দেখি এই কাণ্ড।”