West Bengal News : কলকাতার রবিনস্ট্রিট কাণ্ডের (Robinson Street Case) ছায়া এবার হাওড়া জগাছা থানা এলাকায়। নিজের স্ত্রীর মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছে স্বামী। মৃতদেহ থেকে নির্গত পচা,দুর্গন্ধে অতিষ্ট উঠেছিল এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় পুরসভায়। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে হাজির হয় ওই দম্পতির বাড়িতে। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত মহিলার নাম তপতী চক্রবর্তী (৬৭)। দম্পতির বিবাহিত মেয়েকে খবর দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার জগাছা থানার (Jagacha Police Station) অন্তর্গত নন্দীপাড়া এলাকায় পচা, দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কোনও একটি নির্দিষ্ট বাড়ির ভিতর থেকেই এই দুর্গন্ধ নির্গত হচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে খবর দেওয়া হয় পুরসভায়। এরপর পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে দুর্গন্ধের উৎসস্থল খুঁজে বের করে হাজির হন ওই বাড়ির সামনে। মৃত মহিলার স্বামীর নাম তুষার চক্রবর্তী। স্বাস্থ্যকর্মীরা দরজা বন্ধ দেখে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করে।

Haridevpur Incident : পরকীয়ার জেরে আত্মহত্যা? হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত স্বামীর সঙ্গেই অচেনা মহিলার দেহ উদ্ধার! হতবাক স্ত্রী
কিন্তু ডাকাডাকির পরেও বাড়িতে থেকে কেউই বের হননি। দরজাও খোলেননি। ততক্ষণে খবর দেওয়া হয় জগাছা থানার পুলিশকে। জগাছা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেয়। ঘরে ঢুকে দেখা যায় তুষার বাবু ঘরে বসে রয়েছেন। মেঝেতে পড়ে রয়েছে তার স্ত্রী তপতি দেবীর(৬৭) পচা গলা দেহ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তুষার চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী তপতী দেবী দুজনেই অসুস্থ ছিলেন। স্থানীয় বাদিন্দারা জানিয়েছে, তুষার চক্রবর্তী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাদের একমাত্র মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে তিনি বিবাহিত। মুম্বইয়ে থাকেন। পুলিশের তরফে তাঁর মেয়েকে খবর দেওয়া হয়।

Bankura News : সরকারি হোমে আবাসিক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
তুষার চক্রবর্তীর ভাই নীহারকান্তি চক্রবর্তী বলেন, “আমি মাঝে মধ্যে খোঁজ খবর নিতাম। রোজ আসা সম্ভব হত না। কয়েকদিন আগেও এসেছিলাম। তবে কেউ দরজা খোলেননি। তাই চলে যাই। কিন্তু তখনও বুঝিনি এমন কিছু হবে। আমারও বয়স হয়েছে। সবসময় খোঁজ রাখা সম্ভবও হয় না। ওর মেয়েও খোঁজ রাখে না। আজ শুনি এমন ঘটনা ঘটেছে।” তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ এরকম ধরণের ঘটনা তো হামেশাই শোনা যাচ্ছে এখন। তবে আমাদের এলাকাতেই এরকম ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি। আমরা প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম গত দুদিন ধরে। আশেপাশে ঝোপঝাড়ে কোনও প্রাণী মারা গিয়েছে, সেখানটা থেকেই গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে প্রথমে ভাবা হয়েছিল। সে কারণেই আমরা পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের খবর দিই। তারপর দেখি এই কাণ্ড।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version