কত টাকার বই বিক্রি হল?
বুকসেলার্স এবং পাবলিশার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এই সময় ডিজিটালকে জানান, “এ বছর রেকর্ড সংখ্যক বই বিক্রি হয়েছে। সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। হিসাব বলছে এখনও পর্যন্ত ২৫ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে মোট বই বিক্রির পরিমাণ। শেষ দিনের হিসেব জুড়লে তা আরও বাড়তে পারে। করোনার দাপটের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বইমেলা। ফলে এবছর নতুন উদ্যমে আরও বেশি মানুষ বইমেলায় এসেছেন।” স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে কলকাতা বইমেলা। আয়োজনেও কোনও খামতি রাখেননি গিল্ড কর্তারা। দু’সপ্তাহের এই মেলায় ২৫ কোটির ব্যবসা নেহাত মন্দ নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত বছরের তুলনায় যা পাঁচ কোটি বেশি।
কত সংখ্যক মানুষ এলেন বইমেলায়?
গিল্ডের হিসেব বলছে শেষলগ্নের আগেই বইমেলায় পা রেখেছেন মোট ২৫ লাখ বইপ্রেমী। যা গত বছর ছিল ১৮ লাখ। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে আয়োজিত এই মেলায় কেবলমাত্র রবিবারই অন্তত দেড় লাখ মানুষ ঘুরেছেন। রাত পোহালে সেই হিসেব নিয়েই বসবে গিল্ড এবং পাবলিশার্সরা।
কামাল করল শিয়ালদা মেট্রো (Sealdah Metro)
এ বছর বইমেলায় হিট শিয়ালদা মেট্রো। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ কেবলমাত্র শিয়ালদা থেকে মেট্রোয় চেপে পৌঁছে গিয়েছিলেন কলকাতা বইমেলায়। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশক মিত্র বলেন, “রেকর্ড গড়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। শনিবার পর্যন্ত গ্রিন রুটে মেট্রোয় চড়েছেন ৬৬ হাজার মানুষ। গত দুই সপ্তাহে কেবলমাত্র কলকাতা বইমেলার জন্য মেট্রোর আয় এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। প্রচুর সংখ্যক যাত্রী এই রুটে বইমেলা পৌঁছে গিয়েছেন সহজেই। রবিবার পরিষেবা পাওয়া এবং রাত ১০টা পর্যন্ট মেট্রো চলায় বইমেলা থেকে ফেরাও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। ফলে এই বইমেলা মেট্রোর জন্য একটা বড় ইভেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল।” তিনি আরও জানিয়েছেন, শনিবার কেবলমাত্র শিয়ালদা স্টেশনে পা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৮৩ জন মানুষ। করুণাময়ী এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভ স্টেশনে টিকিট কেটেছেন যথাক্রমে ২০ হাজার ৩১৯ এবং ৬ হাজার ৮৩০ জন।”