মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন বাংলা থেকে প্রায় ৮০০-৯০০ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ বিদেশে রপ্তানি হয়। রপ্তানির আরও সুযোগ থাকলেও প্রসেসিং ইউনিট না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ঠিক মতো সংরক্ষণ না করলে খুব কম সময়ে মাছে পচন ধরে। সে জন্য হলদিয়ার বাসুদেবপুর মৌজায় এই ইউনিট তৈরি করছে বেনফিস। জায়গাটি দিঘা-শঙ্করপুর সমুদ্র বন্দরের খুব কাছে। সেখান থেকে হাজার হাজার ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় বহু মাছ নষ্ট হয়ে যায়। অথবা জলের দরে তা বিক্রি করে দিতে হয়। ফুড প্রসেসিং সেন্টার তৈরি হলে এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে। এই সি ফুড প্রসেসিং সেন্টারে (Sea Food Processing Center) মাছ সংরক্ষণের পুরো কাজটাই হবে যন্ত্রের সাহায্যে। সেন্টারে আলাদা আলাদা ইউনিট থাকবে। এক এক ইউনিটে এক এক রকমের সুবিধা মিলবে।
১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি EM বাইপাস লাগোয়া বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সি ফুড শো। এই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের নামকরা শিল্পপতি, মৎস্য রপ্তানিকারক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন। এর মূল আয়োজক কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) অধীনস্ত সংস্থা, দ্য মেরিন প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং সি ফুড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া।