West Bengal Local News: সর্দিকাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে একের পর এক শিশু ভর্তি হচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনা চিকিৎসকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,এই উপসর্গ গুলো নিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০০- ১২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালের শিশু বিভাগে। রোগীর বাড়তি চাপ সামলাতে বেড বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে কী কারণে জেলার একের পর এক শিশু এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে চিকিৎসকদের উদ্বেগ বাড়ছে। সমস্যা জানতে হাসপাতালের তরফে পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠানো হয়েছে।

Udayan Guha: আচমকা অসুস্থ উদয়ন গুহ? চিকিৎসা করাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মন্ত্রী
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তির সংখ্যা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১৪০০-র মতো শিশু একই ধরনের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জন শিশুকে হাসপাতাল ভর্তি করতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদেরই এই ধরণের সমস্যা বেশি হচ্ছে। আগে যেখানে এই ধরনের সমস্যা সারতে ২-৩ দিন সময় লাগত, এখন সেখানে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে সুস্থ হতে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

Asansol News: চিকিৎসার গাফিলতিতে কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ, আসানসোলে ডাক্তারের বাড়িতে তাণ্ডব
তবে এদিকে যেমন প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ছে তেমনই এক এক জনকে যেহেতু ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ভর্তি রাখতে হচ্ছে তাই বেডের অপ্রতুলতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে একই বেডে দুই শিশুকে রাখা হচ্ছে। কখনও কখনও তিনজনকে এক বেডে রাখতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে করোনা মোকাবিলার জন্য বাড়তি বেড প্রস্তুত থাকার কারণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে।

Howrah-Burdwan Local Train : হাওড়া-বর্ধমান রুটে বাতিল একগুচ্ছ লোকাল-মেল-এক্সপ্রেস ট্রেন, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার যাত্রীরা
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ তথা শিশু বিশেষজ্ঞ কৌস্তভ নায়েক এই প্রসঙ্গে বলেন, “এটা শুধু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাকাল হাসপাতাল নয় রাজ্যজুড়েই হাসপাতালগুলিতে এই সমস্যা নিয়ে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সাধারণত বছরের এই সময়টাই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে শিশুদের এই সমস্যা দেখা গেলেও এটা ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণ নয়। তবে এটি একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। তাই কোনও ধরনের ভাইরাসের ফলে এই সমস্যা হচ্ছে তা জানতে আক্রান্তদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সেই নমুনা ভাইরাস রিসার্চ ডায়গনিস্টিক ল্যাবরেটরি (VRDL)তে পাঠানো হয়েছে। আশা করি আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট চলে আসবে। তবে এতে আতঙ্কিত বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version