West Bengal News : প্রকাশ্যে দিবালোকে বালি পাচার (Sand Smuggling) চলছে নদী থেকে। প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে হুগলি (Hooghly) জেলার আরামবাগ (Arambag) পুরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের সাজিডাঙার দ্বারকেশ্বর নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে পাচার (Sand Smuggling) চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নদীতে রীতিমত কোদাল, বালতি, বালি কাটার মেশিন দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। নদীর চরের প্রায় এক কিলোমিটারের মতন এলাকা জুড়ে বালি পাচারকারীরা দিব্যি বালি পাচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।

Nadia Primary School : নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুলের ভবন নির্মাণের অভিযোগ নদিয়ায়, ক্ষোভে কাজ বন্ধ করালেন গ্রামবাসীরা
এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্বারকেশ্বর নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার যে হচ্ছে সেখানে প্রশাসনেরও কিছুটা ঢিলেঢালা মনোভাব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বালি পাচারকারীরা এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে বার বার।

সম্পুর্ন বেআইনি ভাবে দ্বারকেশ্বর নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে অথচ প্রশাসন নিশ্চুপ। কিন্তু কেন? কি রহস্য লুকিয়ে আছে? নানা প্রশ্ন উঠছে আরামবাগের (Arambag) আনাচে কানাচে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজিডাঙার এই নদীর চর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৫০০টি’র বেশি বালি বস্তা ভরে ভরে আরামবাগের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছে।

India Bangladesh Border : কাঁটাতার বসানো ঘিরে সীমান্ত এলাকায় BSF-র সঙ্গে তুমুল বচসা, মহিলাদের মারধরের অভিযোগ
এমনকি নদীর পাড় কেটেও চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। এইভাবে যদি বালি অবৈধভাবে তোলা হয় তাহলে বর্ষার সময় নদীর পাড় ভেঙে যাওয়াও আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলেই বালি পাচারকারীরা ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয় বলেও জানান স্থানীয়রা।

এমনকি অবৈধভাবে বালি তুলে কলা গাছ দিয়ে তৈরি ভেলার সাহায্যে নদীর এপার থেকে ওপারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কাজী রেজাউল হোসেন জানান, “এখানে দীর্ঘদিন ধরে বালি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বালি তুলে বস্তায় ভরে নদীর কালিপুরের দিকে থেকে ভ্যালায় করে আরামবাগের দিকে বস্তায় ভরে পাচার করা হচ্ছে। বারন করলেও শোনে না। প্রায় তিন চার মাস ধরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন এখানে এসে বালি তুলে নিয়ে যায়।”

Bakkhali : বকখালিতে জঙ্গলে আগুন, পুড়ছে ঝাউবন
এই প্রসঙ্গে আরামবাগ SDLRO পরিচয় ভট্টাচার্য জানান, “বিষয়টা জানলাম আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।” কিন্তু স্থানীয় মানুষদের দাবি আগে বহুবার প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও হোলদোল দেখা যায়নি। স্থানীয়দের সন্দেহ, এই পাচার চক্রে কোনও বড় মাথা জড়িয়ে আছে। এখন দেখার প্রশাসন বালি চুরি বন্ধ করতে কি ব্যবস্থা নেয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version