আহত যুবক জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি ত্রিপুরার তেবাড়িয়া গ্রামে। চার বন্ধু মিলে আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। সেই সময় ট্রেনে তাদের সঙ্গে কয়েকজনের বচসা বাঁধে এবং শুরু হয় হাতাহাতি। পরে কোনও এক জায়গায় চলন্ত ট্রেন থেকে ওই যুবককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
ওই যুবক জানিয়েছেন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর থেকে মোবাইল, টাকা সহ অন্যান্য যাবতীয় সামগ্রী কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তাঁকে সেখান থেকে নলহাটি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত যুবক সিপুল এই প্রসঙ্গে বলেন, “কাল আমাদের বেঙ্গালুরু যাওয়ার ছিল। সেই কারণে আমরা আগরতলা থেকে ট্রেনে উঠি। রাতে ট্রেনে ঝামেলা শুরু হয়, আমাদের মোবাইল, টাকা সব কিছু নিয়ে চলে গিয়েছে। আমার কাছে বাড়ির কারও কোনও নম্বর নেই, আমার বন্ধুদেরও কোনও খোঁজ খবর নেই।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, “একজন আধমরা অবস্থায় পড়েছিল, পরে জানতে পারি তাঁর বাড়ি ত্রিপুরায়। তাঁকে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে গিয়েছে বলেই উনি জানিছেন। এখন তাঁকে নলহাটি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। খুব খারাপ ও দুঃখজনক ঘটনা।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তাঁর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হতে পারে।
তবে এই প্রথম নয়, অতীতেও বীরভূমে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের মধ্যে খাবার খাওয়ার সময় বচসার কারণে যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। চলতি বছর চেন্নাই-গুয়াহাটি তিনসুকিয়া এক্সপ্রেসে এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটে।
বীরভূম জেলার রামপুরহাটের দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা ঈদেল শেখকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল ঈদেল পেশায় রাজমিস্ত্রি। চেন্নাই থেকে রামপুরহাটের বাড়ি ফেরার সময় ওড়িশার কাছে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় ঈদেলের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার সময় শ্যালক মেঘবর শেখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।