স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে বর্ধমানে ২ জাতীয় নম্বর সড়কে ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে যাত্রীবাহী বাসের। বাসের সামনে থাকা একটি গ্যাস ট্যাংকার হঠাৎ ব্রেক মারলে এসবিএসটিসি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাংকারের পিছনে ধাক্কা মারে। একই সঙ্গে বাসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি চারচাকা গাড়ি।
আহত হন বেশ কিছু বাসযাত্রী। দুর্ঘটনা লক্ষ্য করে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহত যাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে যায় শক্তিগড় থানার (Shaktigarh Police Station) পুলিশ। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসে মোট ৫২ জন যাত্রী ছিলেন। সুস্থ যাত্রীদের অন্য বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শক্তিগড় থানার পুলিশ বাস,গ্যাস ট্যাংকার ও চারচাকা গাড়িটিকে আটক করেছে। অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চলাচলের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
২ নং জাতীয় সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহত এক বাস যাত্রী পুলক ভট্টাচার্য্য বলেন, “বর্ধমান থেকে করুণাময়ী যাচ্ছিল বাসটি। ট্যাংকারের পিছনে গিয়ে বাসটি জোরে ধাক্কা মারে।” বাসের চালক বলেন, “হঠাৎ করে তেল ট্যাংকারটি ব্রেক মারে। যে কারণে বাসের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। বাধ্য হয়ে জোরে ব্রেক কষ্টে হয়। কিন্তু বাসটি গিয়ে ট্যাংকারের পিছনে ধাক্কা মারে। বাসের সামনের অংশটি ভেঙে দুমড়ে গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসেই বর্ধমানের ২ নং জাতীয় সড়কের গলসি থানার পারাজ মোড় এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। কাঁকসা থানার বাঁদরা গ্রাম থেকে গলসির গলিগ্রামে বাইকে করে আসছিলেন তিন ব্যক্তি। যাওয়ার পথে ২ নং জাতীয় সড়কের পারাজ মোড়ে পিছন থেকে বাইকটিকে ধাক্কা মারে একটি নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাক।
দ্রুত গতিতে এসে কার্যত বাইকটিকে পিষে দেয় ট্রাকটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।