বিরিয়ানি মানেই বাঙালির আবেগ। আলুর সঙ্গে বিরিয়ানির সুগন্ধ আর সঙ্গে এক দুই টুকরো মাংসের কুচি হলে তো কোনও কথাই নেই। পুরোটাই জমে ক্ষীর। আর এই স্বাদ জিভে ঠেকানোর জন্য ১০০ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি টাকা খরচ করতে প্রস্তুত ‘বিরিয়ানি রাক্ষস’ বাঙালি। কিন্তু, মাত্র ৩০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে চিকেন বিরিয়ানি? এও কি সম্ভব! হ্যাঁ! এই ধরনের দুর্দান্ত অফারই সাধারণ মানুষকে দিচ্ছে দক্ষিণ বারাসতের একটি দোকান। ৩০ টাকায় আলু সহযোগে চিকেন বিরিয়ানি।

কোথায় এই বিরিয়ানির দোকান?
অনেকেই এই সংবাদ পড়ামাত্রই মনের অলিগলি দিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন এই বিরিয়ানির দোকানে। কিন্তু, বাস্তবে যদি সেখানে পৌঁছতে হয় সেক্ষেত্রে কোন পথ ধরবেন? দক্ষিণ বারাসত সারদামণি গার্লস স্কুলের সামনেই রয়েছে এই ৩০ টাকার বিরিয়ানির দোকান।

Dada Boudi Biriyani Habra : কাঁসার থালায় পরিবেশন, এলাকায় ঘোরে ভ্রাম্যমাণ গাড়িও! চর্চায় হাবড়ার দাদা বৌদি বিরিয়ানি
কে এই ব্যবসাদার?
কলেজ পাশ করেই এই ৩০ টাকার বিরিয়ানির দোকান দিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া নিলায়ন ভট্টাচার্য। রাস্তার উপর একটি গুমটি দোকান দিয়েছেন তিনি। সেখানে লাল কাপড়ে ঢাকা বড় বড় গামলা। আর সেখানেই থরে থরে সাজানো বিরিয়ানি।

দোকানের সামনে বসার জন্য কয়েকটি চেয়ারও রয়েছে। সেখানে বসে গল্প করতে করতে খাওয়া যাবে ৩০ টাকার বিরিয়ানি। নিলায়ন জানান, এই দোকানটির মাধ্যমে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিবারের।

Biriyani Point Habra : ১০ টাকার বিরিয়ানিতে ‘লালে লাল’! হাবড়ার বাবুর রোজগার জানলে লজ্জা পাবেন অফিসবাবুরা
মাত্র ৩০ টাকায় বিরিয়ানি, আদৌ কি লাভ করা সম্ভব?
নিলায়ন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিরিয়ানি বাঙালির আবেগ। এলাকায় অনেকে কৃষিজীবী। সকলের পক্ষে এক প্লেট বিরিয়ানির জন্য ১০০ টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তাঁরা যাতে বিরিয়ানির স্বাদ নিতে পারেন সেই জন্যই এই দোকান খুলেছিলাম।”

এই যুবকের সংযোজন, “এখানে একসঙ্গে বহু মানুষ খাবার খেতে আসেন। সেই জন্য আমার লাভই হয়। আমাদের বিরিয়ানিতে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম মাংস থাকে। আলু ছাড়া বিরিয়ানির কথা ভাবাও পাপ। তাই আমরা বিরিয়ানিতে একটি আলুও দিই। তাতেই খুশি হন আমার ক্রেতারা।”

Best Street Food Biriyani: গোলাপ থেকে চন্দন ফ্লেভার! ৬৯ টাকায় পেটচুক্তি বিরিয়ানি, ফ্রি লস্যিও
এই ৩০ টাকার বিরিয়ানিতে রীতিমতো ‘ফিদা’ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, “মাত্র ৩০ টাকায় বিরিয়ানি পাওয়া যাবে তা ভাবতেও পারছি না। এলাকার বহু গরিব মানুষ এখান থেকে মাসে অন্তত একবার বিরিয়ানি খেতে পারে। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্তের কথা ভেবে এই দোকানটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা এখানের বিরিয়ানি অত্যন্ত তৃপ্তি করে খাই।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version